৯ই মার্চ ১৯৭১ঃ
৭ই মার্চের জনসমুদ্রে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মুজিবের ঘোষনা অনুযায়ি পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষনা দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া র প্রতি আহবান জানান ।
পল্টনে দলের বিশাল জনসভায় মজলুম জননেতা দৃঢ় কন্ঠে বলেন , অচিরেই পূর্ব বাংলা স্বাধীন হবে । তিনি সবাইকে মুজিবের উপর আস্হা
রাখতে অনুরুধ জানিয়ে বলেন ,'' বাঙ্গলিরা মুজিবের উপর আস্হা রাখেন, কারন আমি তাকে ভাল ভাবে চিনি ''।
এ দিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শফথ নেওয়ার কথা ছিল লেঃজেঃ টিক্কা খানের ।কিন্তু তখন চলছিল অসহযোগ আন্দোলন । সব কিছুই চলছিল বাঙ্গালির অবিসংবাধিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে । এ অবস্হায় টিক্কা খানকে শফথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বিকৃতি জানান পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী ।
১০ই মার্চ ১৯৭২ঃ
৯ই মার্চ কুখ্যাত টিক্কা খানকে শফথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বিকৃতি জানানোর পর পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকীকে হুমকি দিতে থাকে সামরিকজান্তা । তারই ধারাবাহিকতায় ১০ই মার্চের এক পর্যায় বিচারপাতি বি এ সিদ্দিকীকে গভর্নর হাউসে (বর্তমাবন বঙ্গভবন) আসার জন্য লোক মারফতে নির্দেশ পাঠানো হয় ।
কিন্তু বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী স্পষ্ট জানিয়ে দেন এ অবষ্হায় কোন মতেই টিক্কা খানকে তার পক্ষে শফথ বাক্য পাঠ করানো সম্ভব নয় ।ফলে দ্বি তীয় দিনের মত টিক্কা খানের পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে শফথ নেওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হয় ।
এমতাবস্হায় ইয়াহিয়া খান সামরিক বিধি সংশোধন করে টিক্কা খান কে সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন । এই দিনের এই ঘটনা বাংলার মুক্তিকামি জনতাকে নতুনভাবে উদ্দেলিত করে ।
এ দিন ঢকার রাজপথে লেখক- শিল্পি মুক্তি পরিষদ ও ছাত্রইউনিয়ন বাংলার স্বধিনতা সংগ্রাম জোরদার করারপ্রত্যয় নিয়ে মিছিল করে ।
একাত্তরের এই সময়ে বাঙ্গালির মুক্তির আকাঙ্খা ক্রমেই বাড়তে থাকে ।মুক্তির আকাঙ্খায় উম্মূখ মানুষ প্রতিদিন ছুটে চলছে তাদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ীতে , সকাল নেই দুপুর , নেই রাত নেই মানুষ আসছে তাদের প্রিয় মানুষের কথা শুনতে ।