somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সকল শহীদ স্বরণে করজোড়ে ক্ষমা চাই (পুন প্রকাশ; আমি নতুন ছিলাম বলে লেখাটি প্রথম পাতায় আসেনি, তাই এখন প্রথম পাতায় দিলাম)

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকল শহীদ স্বরণে করজোড়ে ক্ষমা চাই
হে আমার জাতীর সর্ব শ্রেষ্ঠ বীর পুরুষগন। আমাদের ক্ষমা করুণ। আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরী হতে পারিনি। আপনাদের বীরত্ব নিয়ে গর্ব করি অহংকার করি। কিন্তু আপনাদের মত নির্বীক চিত্ত আমরা পাইনি। আপনারা বাঙ্গালির মুক্তির জন্য জীবন দান করেছেন। আমরা প্রান পন করি হাসিনা, খালেদা, এরশাদের জন্য। কজেই আমরা আপনাদের বীরত্বের মর্যাদা রাখতে পারিনি।
তার কারণ অনেক:
ক্ষমা করবেন, আমি জানি আমার কথা শুনে আপনাদের রাগ হচ্ছে। কিন্তু বলতে তো হবেই, সে সংবাদ যত কলংকেরই হউক। আপনাদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলায় জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়। আপনাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন, বাংলায় শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী করা হয়। ইতিহাস বিকৃতি তো একটা সামান্য ব্যাপার মাত্র।
হ্যাঁ, ব্যাপার খুলেই বলছি।
আপনারাতো প্রায় সবাই বাংলাকে শত্রু মুক্ত দেখে যেতে পারেন নি। আপনাদের দেয়া উপহার স্বাধীনতা আমরা কিছুদিন উপভোগ ও করেছি। যদিও সে সময়ও চোরের উপদ্রব ছিল। তাইতো জাতিরপিতা দুঃখ করে বলেছিলেন: মানুষ হল সারে সাতকোটি কম্বল এসেছে আট কোটি তবে আমার কম্বলটা গেল কৈ?
স্বধীন বাংলায় প্রথম নির্বাচন: আ: লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নজীরবিহীন জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও অতি উৎসাহী কিছু ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা কর্মিরা নিতান্তই দুর্বল জাসদ, যারা হয়ত একটি কি দুটি আসন পেত কিনা সন্দেহ, তাদের প্রচার, মিটিং, মিছিল জোড় করে পন্ড করে দেয়। এজন্য কেউ কেউ পুরস্কৃত ও হয়। এভাবে এক প্রকার স্বৈরচারী মনোভাব আঃ লীগ প্রশ্রয় দেয়। যার উদাহরণ আঃ লীগে এখনো পাওয়া যায়। দেশে বিরোধী দল নেই বললেই চলে। জাতি
বঙ্গবন্ধুর আদেশ শীরধার্য মনে করা সত্বেও তিনি বাকশাল করেন। ছোট দল গুলির মত প্রকাশের অধিকার তারা পায়না। শুরু হয় গোপন দলাদলির, যা আজও চলছে। এদের অনেকেই আপনাদের সহ যোদ্ধা। মত প্রকাশের পথ না পেয়ে এরা বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
এই সুযোগে আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধে হেরে যাওয়া হায়েনার দল আবার সংগঠিত হয়। এবং জাতির পিতাকে প্রয় স্বপরিবারে হত্যা করে।
এই অবস্থায় জাসদ সেই হায়েনাদের মোকাবেলায় নিজেদের যথেষ্ট শক্তিশালী মনে করে। এবং প্রতিরোধ করে। তাদের সবচেয়ে বড় ভুল; তারা ভূল লোককে বিশ্বাস করে তার হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। আপনারা শুনে অবাক হবেন! তিনি জিয়াউর রহমান। তখন কেউ ধারনা করেনি যে আপনাদের মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলাকে গো আযমের হেরেম বানাবে।
অবাক হবেননা। এটাই সত্যি। মেজর জিয়া খুব বেশী সময় নেন নি। অতি অল্প সময়েই আপনাদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরকে দাফনের ব্যাবস্থা করেন। জাসদ আঃ লীগ দিয়ে কিমা বানিয়ে গো আযমকে আপনাদের স্বাধীন বাংলায় আমন্ত্রন করেন।
এক সময় তাকেও নর বলি হতে হয়। গো আযম বাংলার মসনদে নতুন পুতুল, এরশাদকে সাজান। এসব আর কি বলব: আপনাদের ধৈর্য্যচুতি ঘটছে? কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা এরশাদ স্বৌরাচারীর সাথে প্রহসনের নির্বাচনে নামে। গো আযম গোফে তেল মাখছে আর ভাবছে; এই হাসিনা আমাকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
এদিকে দেশের মানুষ অন্য বশ্রের অভাবে দিশে হারা। আন্দোলনের নামে হরতাল দিয়ে সোনার বাংলা শ্মশান করে ফেলেছে। জনগনের বারটা বেজে গেছে। সেদিকে বঙ্গকন্যার খেয়াল নেই।
এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল গো আযমরা। খালেদাকে মঞ্চে রেখে শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী বানায়। অলংকারের সখ মেটাতে খালেদা খাজাঞ্চীখানা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে খালি করছে। বাইতুল মালের বদৌলতে গো আযমদের টাকার অভাব নাই। জনগনের চিন্তা তো আর তাদের করার কথা নয়।
এখন আমরা যারা আপনাদের বীরত্বে গর্বিত, কিছু বলতে পারি না। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তালিকা বানায় গো আযম আর খালেদা জিয়া। এই তো দিন কয়েক হল, এক ছেলে কি এক ছবি আঁকছে, সে জন্য তার ফাঁসী চায়। চাইবে বা না কেন! ইসলামে জীব-জন্তুর ছবি আঁকা হারাম।
আমাদের ক্ষমা করবেন, গো আযমদের কাছে আমরা হেরে গেছি। স্বাধিন বাংলায় এখন শুধু গো আযম স্বাধীন। সোনার বাংলা এখন মোল্লাদের হেরেম। আপনাদের বীরত্ব ক্ষমায়ও শ্রেষ্ঠ। আমাদের ক্ষমা করুণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:২৬
৩১টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×