হে বালক, হেই বিস্মিত বালক
কি দেখছো অপলক
নিজের আয়নায় গড়ে তোলা নিজের মুখ
উঁকি দেয় অন্যের ভেতর?
আগ্রহ জাগে?
তখনি ।
অদ্ভুত তেতো ভয় গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে
নাস্তার টেবিলে?
হোটেলের ঐ দূর পেছনের কোণাটায় হাত ধোবার পর
এ গ্লাস টাটকা লাস্যি তোমাকে চোখ টিপ মারে
বেসরকারী মহিলাটার মত?
যার হাত ধরে প্রতিদিন হেঁটে যায় একটা হোৎকা শিশু
আরো হোৎকা একটা ব্যাগ নিয়ে।
তোমার কি ঐ হোৎকাটা হতে ইচ্ছে করে
খুব কাছ থেকে টানটান মাংসগুলো নেড়েচেড়ে দেখার আশায়?
হাত ধরার সুখ
নারী ও জননী?
নাকি বমি করে দিতে ইচ্ছে করে
তখনি, টেবিলটার উপর
আর অপরাধী চোখে বসে থাকতে টেবিল বয়ের মৃদু অনুযোগের আশায়।
কেউ তো তোমাকে অনুযোগ করেনা এখন
সবাই বুঝে গেছে তুমি বিষ্ময় বালক
তোমাকে নিয়ে অনুযোগের কিছু নেই।
কিন্তু নিজেকে নিয়ে তোমার যে কোন বিষ্ময় নেই
তাইতো বিষ্মিত করতে হয় অন্যকে
নিরন্তর হাততালি পাবার আশায়।
হেই বালক; হেই অ-বিষ্মিত বালক
তোমার জীবনে কেন ঘটেনা কোন তীব্র গন্ডগল
একটা দুধমাখা হাত কি তোমাকে আনন্দ দেবে
তোমার মুখপাঁজর ছুঁয়ে দিলে কি তুমি সুখী হবে
নাকি তুমিও বসে আছ কোন বুদ্ধের অপেক্ষায়!
হে বালক; হেই বিষ্ময় বালক!
তোমার কাছে কোন বালিকা আসেনা কেন
তুমি কি জানো, তুমি বসে আছ বাল্যের আপেক্ষায়?
তুমি কি জানোনা বিষ্ময় মরে গেলে বালকেরাও মরে যায়
হেই বালক, তুমি এখনি কিছু বিষ্ময় সৃষ্টি কর।
নয়ত বসে থাকো কোন ধান্দাবাজ প্রাজ্ঞের অপেক্ষায়
তুমি কি জানোনা
তোমার মতই তারাও বসে আছে হারিয়ে ফেলা বিষ্ময়ের আশায়।