somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা ইতিহাস : যে কারনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ব্যর্থ হলাম : পর্ব-৩

০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইতিহাসের র্ববরতম যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে । কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি সেই যুদ্ধাপরাধ এর অন্যতম সংঘটনকারী পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে । আর এখনো পারিনি তাদের এ দেশীয় দোসর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে । আমি এই সিরিজটিতে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী যারা আটক ছিল, যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ছিল, বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেবার পরও কোন পরিস্থিতিতে, কি কারনে একটি নব্য-স্বাধীন দেশ তার জন্মযুদ্ধের সময় যারা মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটন করলো তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল চার্জ "as an act of clemency" বা "দয়াশীলতা ও ক্ষমার মহত্ব" দেখিয়ে প্রত্যাহার করলো সেটি তুলে আনার চেষ্টা করছি ।

(পূর্ব প্রকাশের পর)

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে প্রথমবারের মত একটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক সংস্থায় রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পান আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স এ অনুষ্ঠিত ন্যাম (নন এ্যালাযেন্স মুভমেন্ট) সম্মেলনে । ১৯৭৩ সালের ৫-৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধান বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলির সাথে বাংলাদেশের একটি যোগাযোগ স্থাপিত হয় । ঐতিহ্যগতভাবে প্রায় সকল মুসলিম দেশই ন্যাম এর সদস্যরাষ্ট্র তাই জাতিসংঘের সদস্য না হবার পরও বাংলাদেশকে ন্যাম এর সদস্যপদ প্রধান করা হয় । (১)

এই সম্মেলনে আরব নেতৃবৃন্দের সাথে শেখ মুজিবের ফলপ্রসু আলোচনা হয় এবং আরব লীগ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশকে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সঙকট ও দেশ পুনর্গঠনে সর্বতোভাবে সহায়তার আশ্বাস দেয় । এরই সূত্র ধরে কুয়েত সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে স্বর্ণ মজুদ রাখে । ৭৩ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে আরব লীগ নেতৃবুন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায় । (২)

মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের নেতৃত্বে সৌদি আরবের রাজা ফয়সাল, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুমেডিয়েন এর সহযোগিতায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যার মুলে ছিল ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচারে বাংলাদেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলো এবং এজন্য তখনো পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে নাই । আর পাকিস্তানের মিত্র হিসাবে চীন বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্য হিসাবে যোগদানে ভেটো প্রদান করছে । এর মধ্যে চীন পুনরায় জানিয়ে দেয় ""After resolution of the war trials issue, Peking will recognise Dacca, and the way will be open for Bangladesh to be admitted to the United Nations" (৩) ।

এর মাঝে আন্তর্জাতিক আদালতে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী হস্তান্তর বিষয়ে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের মামলার সকল কাগজপত্র জমা দেবার তারিখ ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭৩ থেকে ১৭ই মে ১৯৭৪ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলেও যুদ্ধাপরাধী সমস্যা নিরসনে আরব লীগ নেতৃবৃন্দের নেওয়া উদ্যোগের ফলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় । ১৯৭৩ সালের ১৪ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতের রেজিষ্টারের কাছে একটি চিঠিতে পাকিস্তান মামলাটি আর না চালাবার সিদ্ধান্ত জানায় এবং মামলাটি আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারাধীন মামলার তালিকা থেকে বাদ দেবার জন্য অনুরোধ জানায় । এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাষ্টিস ১৫ ই ডিসেম্বর ১৯৭৩ এক আদেশের মাধ্যমে, আদেশ নং - ৩৯৩, এই মামলাটি বাতিল ঘোষনা করে এবং তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । (৪)

আন্তর্জাতিক আদালত থেকে পাকিস্তানের মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আরব লীগ নেতৃবৃন্দের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে বিবেচিত হয় এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিদ্যমান সমস্যা ভারতের মধ্যস্থতা ব্যতীত সরাসরি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয় । এবার আরব লীগ নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগ করেন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দান করার জন্য । এর জবাবে জুলফিকার আলী ভূট্টো জানান যে বাংলাদেশ ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করলেই কেবলমাত্র পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবে ।

এই কূটনৈতিক উদ্যোগ আরো গতি লাভ করে ১৯৭৪ সালের ২২-২৪ শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে । বাংলাদেশ তখনো ওআইসির সদস্য নয় । প্রায় সকল সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি থাকা সত্বেও (ইরান, তুরস্ক ও পাকিস্তান ব্যতীত), পাকিস্তানের আপত্তির কারণে বাংলাদেশের ওআইসির সদস্যপদ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে । এর মধ্যে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত, সৌদি রাজা ফয়সাল এবং জর্ডানের রাজা হুসেইন এর উদ্যোগে সাতটি মুসলিম দেশের প্রতিনিধি ঢাকা সফর করেন ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের উদ্যোগ থেকে সরে আসার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজী করাতে । কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিকভাবে কোন শর্তসাপেক্ষে পাকিস্তানের স্বীকৃতি গ্রহণে অস্বীকার করেন এবং এই বিষয়ে আরো আলোচনা প্রয়োজন বলে অভিমত দেন। এরপর এই প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোর সাথে । তারা সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান জানান এবং যুদ্ধাপরাধী সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশের ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন । (৫, ৭)

এর মধ্যে আরব লীগ নেতৃবৃন্দ লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবার জন্য বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করে কিন্তু পাকিস্তান স্বীকৃতি না দিলে ওআইসি সম্মেলনে যোগ না দেবার নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ পুনরায় জানিয়ে দেয় । (৬)

এই অবস্থায় আরব লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে শেষ মুহুর্তের আলোচনায় অনেকটা নাটকীয়ভাবে ১৯৭৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে । একই দিন ইরান এবং তুরস্কও বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে । (৭) তবে পাকিস্তান স্বীকৃতি দিলেও যুদ্ধাপরাধী সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানে অস্বীকৃতি জানায় । এর মাধ্যমে পাকিস্তান আরব লীগ নেতৃবৃন্দের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় কৌশলগত কারনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েও চীনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরে না আসা পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করার ব্যাপারটি আটকে রাখে ।

২২ শে ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের স্বীকৃতি লাভ করার পর বাংলাদেশের একই দিন থেকে লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়াতে আর কোন বাধা থাকেনা । এই অবস্থায় ২২শে ফ্রেব্রুয়ারী সকালে কুয়েতের আমীরের ভাই কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলির একটি প্রতিনিধিদল একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকা আসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এসকর্ট করে লাহোরে নিয়ে যান ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবার জন্য । ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পাকিস্তানে রাষ্ট্রবন্দী হিসাবে আটক শেখ মুজিবুর রহমান এবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেন । (৬)

লাহোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আনোয়ার সাদাত, সৌদি আরবের রাজা ফয়সাল এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টোর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । এর মাঝে পাকিস্তান লাহোর সম্মেলনে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রস্তাব পেশ করে এবং এর সপক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে । (৫, ৮)

(চলবে)

তথ্যসূত্র :
১। The Non-aligned World, University of California, Page 396

২। Bengal and Bangladesh: Politics and Culture on the Golden Delta By Elliot Tepper, Glen Alexander Hayes, Page 101
৩। The Observer, London, 24 February 1974
৪। International court of Justice, Trial of Pakistani Prisoners of War, Official Order of 15 December 1973, নথি নং ৩৯৩
৫। Asian Tribune, 9 August 2007
৬। Bangladesh and the OIC, Syed Muazzem Ali, The Daily Star supplement, February 19, 2006
৭। South Asia in World Politics By Devin T. Hagerty, page 73
৮। The Economist, London, 2 March 1974
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
২৩টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×