ফেলে আসা দিনগুলো, ফিরে পেতাম
তোমার মতোন করে তবে ভালোবাসতাম
তোমার পছন্দের সব ফুলগাছ বাড়ির চারোপাশে চাষ করতাম
ঘরের মাঝে কোনো দেয়াল রাখতাম না।
যাতে করে কাজ করার সময়ও, আমি তোমায় দেখতে পাই।
ঘরের কাজে ব্যস্ত তুমি, যখন ক্লান্ত হয়ে যেতে
তখন ফুলেরা তোমায় দুলে দুলে বাতাস দিতো
রাতে যখন তুমি ঘুমোতে
আমার নাক ডাকার শব্দতো দূর
ঝিঁঝি পোকাকেও দূরে তাড়িয়ে দিতাম।
ভোরে বাঁশি বাজিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাতাম।
দিনভর তোমায় প্রাণবন্ত রাখতে
কাজে যাওয়ার আগে-
ভিজে ঠোঁটে তোমার কপাল ছুঁয়ে যেতাম ।
শত ব্যস্ততার মাঝেও তোমার স্বপ্নের যত্ন করে যেতাম
আজ আর তা, সম্ভব না।
জীবনের অনেক সময় যে চলেগেছে.. .. ..
সব নারীর স্বপ্নে একটি রাজকুমার থাকে
তোমারও ছিল,
জানো, এই ভাঁজ পড়া ত্বকেও স্বাদ জাগে
সেই রাজকুমার হবার,
ভীতরের পশুটিকে মেড়ে
তোমার ঘোলা চোখকে চমকে দিয়ে, আঁখি কোণে আনন্দঅশ্রু ফোটা দেখার।
তোমার ভালোবাসায় পুলকিত হলেও
খুব বেশি পুলকিত করতে পারেনি
আমি সেই ভালোবাসা সেই মনোযোগ
কখনো তোমায় বাসতে ও দিতে পারিনি
যতটুকু তুমি আশা করেছিলে!
তবে তুমি অসন্তষ্ট বা অখুশি আছো
সেই ঘ্রাণ তোমার আচরণে কখনো পাইনি
বরং তুমি ভালোবাসো, শ্রদ্ধা করো
তার ছাপ তোমার চোখে-মুখে আমি দেখিছি।
রাজকুমারের মতো কোন মডেল হিসেবে নয়
ভালোবাসার মানুষ হিসেবে নিজেকে পেয়েছি।
তোমায় কী দিতে পেরেছি জানি না
হিসাব কষে দু:খিত বা ধন্যবাদ, বলিনি
আজও বলবো না।
আমার না বলা ভাষা তুমি বুঝ
প্রিয়তমা
আজই প্রথম কফি বানাচ্ছি তোমার জন্য।
তমি বুঝে নিও।
বয়সের যে সন্ধ্যা নেমে এলো, ভালোবাসার যে কেবল ভোর হলো।
যদি আরেক বার
ফেলে আসা দিনগুলো, ফিরে পেতাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০৭