somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কম্যুনিজম মানবতার জন্য অভিশাপ।পর্ব ৩

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর আগের দুই পর্ব লেখার পর আর লেখা হলনা অনক দিন।
আবার শুরু করলাম।তবে তার আগে এই সমাজতন্ত্র কিভাবে আসল তার ধারনা দিয়ে যাই।

অষ্টাদশ শতকের শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে সেখানে এক অভূতপূর্ব সামাজিক রুপান্তর সংঘঠীত হয়।নতুন নতুন শিল্প ও কলকারখানা আবিষ্কারের ফলে শিল্প উপকরনের উপকরনগুলির মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে।গৃহ ও কুটির শিল্পগুলি মিল কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার সাথে টিকে থাকতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।পক্ষান্তরে বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এ সবের জায়গা দখল নিতে শুরু করে।দরিদ্র কুটির শিল্পীদের হাতে বড় ধরনের ব্যবসা করার প্রয়জনীয় পূজি না থাকায় তারা অশায় হয়ে পড়ে।আর অন্যদিকে বড় বড় ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে বুর্জোয়া পুঁজিপতি গোষ্ঠির জন্ম হয়।বাষ্পিয় যানবাহনের সহয়তায় সমস্ত বানিজ্য পথ ও পুঁজিপতিদের দখলে চলে যায়।এতে অনেক মানুষ যারা পন্য বহন করে জীবিকা নির্বাহ করত তারা বেকার হয়ে যায়।ফলে নিজেদের বাচিয়ে রাখতে তারা পুঁজিপতিদের দুয়ারে ধর্না দিতে থাকে।এমনিভাবে পুঁজিবাদের অভিশপ্ত পরিনামের ফলে ভূমিহীন ও পুঁজিহীন এক বিরাট জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়।শিল্পপতিরা এত লোভী ও স্বার্থপর হয়ে উঠেছিল যে তারা নারী এবং পাঁচ বছরের শিশুকে ও যত ঘন্টা পারত খাটিয়ে নিত।গর্ববতী মেয়েদের পর্যন্ত কাজ থেকে রেহাই দেওয়া হতনা।
পুঁজিপতিরা বাজার দরকে নিজেদের স্বার্থানুযায়ী রাখতে গিয়ে যেমন কৃতিম অভাব সৃষ্টি করে তেমনিভাবে অল্প মজুরিতে শ্রমিক লাভের আশায় তারা দেশে সুপরিকল্পিত বেকারত্ব সৃষ্টি করে রাখত।
১৮৭১ সালের দিকে রাশিয়ার শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চরমে উঠে।সাড়ে বার ঘন্টা তাদের ডিউটি দিতে হত।অত্যন্ত কম পারিশ্রমিক দেওয়া হত।অন্ধকার ও অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে রাখা হত।এবং কোম্পানির দোকান হতে দ্বিগুন তিনগুন চড়া মূল্যে নিত্য প্রয়জনীয় জিনিস ক্রয় করতে বাধ্য করা হত।
(ইশতারাকিয়াত আওর নিজামে ইসলাম)
তাছাড়া রাশিয়ার জার শাসকরা পাদ্রীদের সাথে মিলে সাধারন মানুষের উপর তাদের জুলুম নির্যাতনের লৌহমর্ষক কাহীনি লিখলে আমাকে আরও অনেক পর্বে যেতে হবে। এইসব মজলুমদের এই দুরবস্হা থেকে মুক্তিদানের জন্য তাদের অবস্হা উন্নয়নের ব্রত নিয়ে ঐ সময় নানা মনীষী স্ব স্ব ধ্যান ধারনা অনুযায়ী প্রচেষ্ঠায় তৎপর হয়ে উঠেন।
রাশিয়া তখন এক ক্রান্তিকালের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল ।
ঐ সময় মার্কসের চিন্তা ধারা রাশিয়ায় প্রবেশ করে।তাতে সকলেই অনুপ্রানিত হয়।সমাজতন্ত্রীদের প্রথম বিপ্লবী নায়ক অর্থনতিবিদ ভি আই লেনিনের উপর মার্কসের শিক্ষা গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে।তিনি তার পর্যবেক্ষন ও পর্যালচনার স্বাভাবিক শক্তির সহয়তায় মার্কসের অনেকগুলি মূলনীতি এড়িয়ে একটি সময়োপযোগী কর্মপদ্বতি বের করেন এবং শ্রমিকদের সংগঠিত করেন।
Click This Link target='_blank' >কম্যুনিজম মানবতার জন্য অভিশাপ।পর্ব ১
Click This Link target='_blank' >কম্যুনিজম মানবতার জন্য অভিশাপ।পর্ব ২



১২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×