যারা এসব করছেন, তাদের অনেকের সাথেই মুক্তিযুদ্ধ, জামাত, গোলাম আজম, ধর্ম সম্পর্কিত প্রশ্নে আমার একাত্বতা রয়ছে ও তা চিরদিনই থাকবে। কিন্তু এই একাত্বতার বিনিময়ে যৌক্তিক ও রুচিশীল মানবিক চর্চাকে ব্যাহত করতে রাজী নই আমি। সেজন্যেই আমার এই প্রতিবাদ। আর আরেকটা বিষয় আমি পরিস্কার করে বলছি, সে কারনে আমি নিজেও ভীত। তা হচ্ছে, এতে আমাদের নিজেদের স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছি আমরা। আমি সেখানেও কোন আপোষ করতে রাজী নই।
একই বক্তব্যে সারোয়ার চৌধুরীর প্রসঙ্গও আনছি। তার লেখা আমার ভাল লাগে বা না লাগে, সেটা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়। কিন্তু তাকেও বার বার উত্যেক্ত করা হচ্ছে। এটা যদি রসিকতা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়, তার সাথেও একমত নই আমি। রসিকতা ততক্ষনই রসিকতা, যতক্ষন যার সাথে তা করা হচ্ছে, তিনিও তার রস অনুভব করতে পারেন। এটা ছাড়িয়ে গেলে এ রসিকতা উত্যেক্ত করার পর্যায়ে গিয়েই দাড়ায়।
আপনাদেরকে যথেষ্ট কাছের মানুষ হিসেবে ভাবি আমি। তাই কোন ভড়ং না করে সরাসরি এই কথগুলো বললাম। কারণ এসব করে ভিন্ন মতের মানুষগুলোকে আমাদের কাছাকাছি আসার পথও রুদ্ধ করা হচ্ছে এতে। আর আরেকটা কারন, মানবিকতার স্থান ধর্ম, মত ও জাতি.. সবার উপরে বলেই মনে করি।