somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্ত হস্তে হাসুন, মুক্ত মনে পাদুন!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিনকালের কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। সেইদিন গেছিলাম কামরাঙ্গীর চর আমাগো দেশের বাড়ী। বাপে কাজ দিয়াছে, জায়গা জমি মাপতে হইবো, রক্ষনাবেক্ষনের টেন্ডার আমার। আমি পড়লাম সমস্যা নামক জটিল গ্যাড়াকলে।

আমি জানি কত শতাংশে এক কাঠা, কত কাঠায় এক বিঘা, কত বিঘায় এক ছটাক! কিন্তু ঐখানে পৌছিয়ে দেখলাম সমস্যা হেভী ঠান্ডা পড়ছে। দিলাম কামাল মিয়াকে ফোন: আপনে এখন কোথায়?
সে জবাবে বললো," সর্দি, আজকে মাপবো না, কালকে মাপবো!"
আমি আতকা চিক্কুর দিলাম,"আরে কালকা তো শুক্কুরবার, ঐদিন আপনে মালপত্র নিয়া আসবেন কিভাবে?"
"তাহলে শনিবার.ঐদিন আমাগো খোলা থাকে!"

মেজাজ আবার চড়া। বেলা বাজে ১:০০টা।এখন খাই কই, আর যাই কই?
দিলাম শাহরুখকে ফোন,"কৈ তুই?"
-আমি বাসায়!
-রান্না হইছে?
-না, কামের বুয়া দরজা বন্ধ দেইখা চইলা গেছে।
-কেন? তুই কই আছিলি?
-টয়লেটে!
মেজাজটা আমার খিচড়াই গেলো। কারো বাসায় দাওয়াত খাবো সেই অবস্হাও নাই। নওরীনের কাছে ভুল কইরা দিবাকে দেয়া গ্রিটিং কার্ড আর গিফট চলে যায়। আর আমার কপাল পুরা শুরু হয়। এখন রাখী বানলে কিছু হইলেও হইতে পারে। তাও দিলাম ভয়ে ভয়ে নওরীনের আম্মাকে দিলাম মিসড কল। আশ্চর্য হলেও সত্য, উনি ব্যাক করলেন!
-কে বশীর? কি খবর তোমার?
-জ্বী খালাম্মা স্লামালিকুম, ভালো আছেন?
-অয়ালাইকুম সালাম, তুমি কেমন আছো? তুমি বাসায় আসো না কেন?
-জ্বী ইদানিং একটু বাবার জায়গা জমি নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেছি। আচ্ছা, আন্টি নওরিন নাই?
-ওতো একটু আগে বের হয়ে গেলো শাহরুখের সাথে?
-কি? শাহরুখের সাথে মানে? ও কি একটু আগে বাসায় এসেছিলো?
-হ্যা বললো আজকে নাকি কি ক্লাস আছে?
-আচ্ছা আছে বোধ হয়! রাখি এখন খোদা হাফেজ!

আমার ক্ষুধা উড়াল দিলো টাওয়ারে। কারন শাহরুখের পেটে কি আছে সেটা খুব জানতে ইচ্ছা করছে! তাড়াতাড়ী ঢাকায় রওনা হলাম। শাহরুখ আমার ভাগে ভাগ বসাইছে। ওর খবর আছে।

পরে যেটা জানতে পারি নওরীন নাকি শাহরুখকে অনেক ফুসলাইছে, আমার ব্যাপারে জানতে। ও কিছুই বলতে পারি নাই। যাই হোউক, অল্পের উপর দিয়া বাচলাম, কিন্তু পরে যখন আবিস্কার করলাম আমার ফোনের ডায়েরী নাই তখন শাহরুখকে দিলাম ফোন।
-তুই কৈ?
-খুলনা!
-আমার ফোনের ডায়রী কই?
-দোস্ত আমার কোনো দোষ নাই। ডাস্টবীনে ময়লা ফেলাইতে যাইয়া ভুলে তোরটা চলে গেছে।
-শোন ঐটা যদি ডাস্টবীনে না হইয়া নওরীন হয়, তোর রোজ কিয়ামত স্টার্ট!

ফোন কেটে দিলাম। অদ্যাবধি ও ঢাকায় আসেনি, নওরীনও যোগাযোগ করেনি। এদিকে আমি টেনশনে!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×