সাম্প্রতিক এবং অসাম্প্রতিক কিছু ঘটনার বিশ্লেষণে আজকের ঘটনাটি যে কতটা অলীক তা আশাকরি কাউকে দ্বিমতে উৎসাহী করবে না।
মিরপুর থেকে আসছিলাম পাবলিক বাসে। আমারে পাশের সিটে বসে আছে মোঃ সলিম। হাতটা ব্যান্ডেজ করা দেখে সিমপ্যাথি অনুভব করলাম। যদিও খুব সস্তা, কারণ কারও দুঃখ শুনে লাঘবের কোনও ক্ষমতা আমার নেই। তবু শুনি। বিশেষ করে তাদের যারা ডিস্টার্ব ফিল করবে না আমার কৌতূহলে।
জিজ্ঞেস করলাম খুব ব্যথা করছে?
হুঁ, গাড়িযে কহন যাইবো?
এতক্ষণতো যম্মের লোকাল ঘোষণা দিয়েই লোক উঠাইছে, এখন পড়ছে জ্যামে, রক্ষা নাই! তোমার হাতে কী হইছে?
মেশিনে কাটছে। সুতার মেশিন।
কীভাবে ?
আমি গার্মেন্টসএ কাম করি।বলে ও ওর কাজের একটা বিবরণ দিল , আমি খুব বেশি বুঝলাম না। বুঝলাম একটা সোয়েটার গার্মেন্টস্এ কাজ করে। তুলা সুতা নিয়ে ওর কাজ। তুলা সুতা বা কাপড়ের টানে হাতটা মেশিনের ভিতর চলে যায়। দুইটা আঙুল ফ্রাকচার হয়। গোশত উঠেগিয়ে হাড় বের হয়ে যায়।
ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কি না জানতে চেয়ে অবাক হলাম! হ্যাঁ ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
কোন গার্মেন্টস?
সাত নাম্বার(মিরপুর-৭) সানা গার্মেন্টস।
বললাম কী ক্ষতিপূরণ দিল?
চিকিৎসা করাইতেছে, ছুটি দিছে, বেতন কাটেনাই। বাহ! ওরাতো দেখছি মানুষ হতে শিখেছে। তাও নাকি আবার প্রডাকশন বেইজ, তবু বেতন দেয়!
এটাতো অলীক ! তাই না!