somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশেষে তুরস্কে হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবশেষে অবসান হচ্ছে এক নিরব কান্নার। শতকরা ৯৯ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ তুরস্ক। যেখান থেকে ৬০০ বছর ওসমানী খেলাফত পরিচালিত ছিল। ওসমানী খেলাফতের সেই পূণ্য ভূমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ। শুনতে একটু আশ্চর্য মনে হলেও বাস্তব এটাই। ১৩ মার্চ ১৯৯৮ বিশ্ববিদ্যালয় রেক্টরদের বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ক্ষেত্রে স্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হয়। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হাজার হাজার স্কার্ফ পড়া ছাত্রীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। সর্বোমোট ৯৩ হাজার ছাত্রীকে সে বছর তাদের শিক্ষা-জীবন থেকে বঞ্চিত করা হয়। আর এভাবেই শুরু হয় তুরস্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উপর নিরব নির্যাতন আর বৈষম্য। দেশের সেনাবাহিনী এবং সরকারের আমলাদের কারনে এতদিন জনগণের অতি প্রত্যাশিত এই স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন বাতিল হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা ক্ষমতায় গেলে স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন বাতিল করবে। তারই ধারাবাহিকতায় তুরস্কের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বাতলি হচ্ছে এই স্কার্ফ নিষিদ্ধ আইন। যদিও ধারণা করা হচ্ছে যে, আইনটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে পাশ করা হবে। কিন্তু তার পরেও দেশের ভিতরে বিতর্ক চলছে। অনেকে মনেকরছেন এটা করলে দেশের ধর্মনিরাপক্ষতার উপর বিরাট হুমকী হয়ে দেখা দিবে। কামাল আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত রিপাবলিক পিপলস পার্টির (CHP) প্রধান ডেনিজ বাইকাল মনেকরছেন এটা ইসলামিক পার্টির একটা সিম্বল শুধু। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী রেজেপ তাইপ এরদোগান জোর দিয়ে বলছেন যে পার্টিগত সিম্বলই হোক আর ইসলামী নিদর্শনই হোক স্কার্ফের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে মুক্ত পরিবেশে মেধা বিকাশে সহয়তা করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
১২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×