বাতাসের গতি ভুলে এগুতেই উল্টো বাতাসের
সজোর লাথিতে আছড়ে পড়ে ঘাসফড়িং
আমি তারে ওজন সামলে নিতে সান্ত্বনা দেই......
কিছুটা জলজ, কিছুটা অগ্নিয় অম্ল দহনের ঘোর কাটে
জোকার পতঙ্গের হো হো অট্ট হাসিতে...
বোকা ঘাসফড়িং উঠে দাড়াতে দাড়াতেই
ডানা ডাঙ্গার ব্যাথা অনুভূত হয়....
আহ ! এযে আলু কাবাবের গন্ধ !
যেন হাটা শেখার সেই প্রজাপতি কাল -
ঘাসফিড়িং মাকে মনে করতে থাকে
যে সাগরের বুক থেকে ভেসে আসে মহাশূণ্যের
হাহাকার ঘ্রান - যেন নিজের বালকবেলাকে ফিরিয়ে
নেয়া -শ্যামল রাখালের - ধুলোওড়া
গোধুলি বেলায়---
পাখা হারানো ফড়িং নিজেতে দ্রবিভূত হতে হতে
অজস্র পাখনা তড়পাতে দেখে নিজের চারপাশে
উলঙ্গ সময়ের শিলালিপি সভ্যতা -
নাগরিক ব্যাঞ্জনার পাখা পরায়
ঘাসফিড়ংয়ের ব্যাথাতুর ডানায়--
এরপর একজোড়া শালপাতা চোখ হটাৎ পাঠ মনযোগী
ফড়িংয়ের আহত ডানায়..........
হিসেবে গোলমাল হয় - ফড়িংয়ের
সে কেবল মনে করতে পারে -
ঘামে ভেজা একটুকরো মাটিকে যেখানে
লুকিয়েছিল প্রথম ঝরে পড়া দাঁত- কিশোরবেলায়.....