সংঘাত এড়াতে সংলাপে বসতে আবারো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
Published : 10 Sep 2013, 06:40 PM
মঙ্গলবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এখনো বলছি, সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান করুন। আমরা এমন কোনো কর্মসূচি দিতে চাই না, যাতে মানুষের দুর্ভোগ হয়। আমরা দেশে শান্তি চাই, সংঘাত চাই না।”
নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়ে প্রয়োজনে সরকারকে গণভোট দিয়ে তা যাচাইয়ের দাবিও জানান তিনি।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, আগামী দশম সংসদ নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই, যা নিয়ে আপত্তি তুলে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।
বিএনপি বলে আসছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা তারা প্রতহিত করবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না।
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন গত ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আগামী নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন। দুই নেত্রীকে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নির্দলীয় সরকারের দাবির পক্ষে যুক্ত দেখিয়ে এম কে আনোয়ার বলেন, “জনগণেরএই দাবি পূরণ ছাড়া এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকতে সরকার এই বিধানকে সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে দাবি করেন তিনি বলেন, “আপনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আমার এলাকা থেকে আপনি নির্বাচন করে জিতলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না বলেও জানান এই সাবেক মন্ত্রী।
নোবেল শান্তি বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এভাবে ড. ইউনূসকে খাটো করা যাবে না। তার ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করতে সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কবি আল মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক জিন্নাতুন নেসা তাহমিনা বেগম, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।