ছোট কাল থেকে জানতাম গরু জাবর কাটে। সারাদিন যা খায় তা একটা থলিতে জমায়। আর রাতভর সেই অর্ধ চিবানো খাবার আবার মুখের ভিতর টেনে এনে জাবর কাটে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
এখন প্রশ্ন হলো ছাগল জাবর কাটে কিনা?
সমস্যাটা হয়েছে - ছোট বেলায় স্কুলে গরুর প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাতিত্বের কারনে ছাগল বিষয় কোন রচনা পড়ানো হয় না। তাই ছাগল আসলে জাবর কাটে কিনা সেই বিষয়ে একটা জিজ্ঞাসা মনের মধ্যে ছিল দীর্ঘকাল।
কানাডায় আসার পর সমস্যাটা আরো বেড়েছে। কারন কানাডা জ্যান্ত ছাগল দেখতে পাইনি।
কিন্তু আজ ব্লগে দেখলাম একটা ছাগল জাবর কাটছে। কাটছে বললে ভুল হবে - বেশ জোরে সোরে স্বশব্দেই কাটছে।
সেখানে দেখলাম বছরের পর বছর ধরে চিবানো ঘাসগুলো আবারো চিবুচ্ছে। যেমন বরিঠাকুরের বঙ্গভঙ্গ বিরোধীতা, জেনারেল ওসমানীর রেসকোর্সে অনুপস্থিতি।
গতবছরের শুরুতে ছাগলটি মুক্তিযুদ্ধের প্রচলিত ইতিহাস অস্বীকার করে নিজেই একটা ছালিতিহাস লিখার জন্যে বিরাট প্রকল্প ঘোষনা করেছিলো। আমরা অধীর কৌতুহলে ছাগোপোযোগী ইতিহাস প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখার জন্যে অপেক্ষা করছি।
সেই প্রক্ল্পের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাগল মহাশয়কে চাদপুরের চান মিয়ার সাথে দেখা করার কথা শুনা গেছে।
অতঃপর নানাবিধ কারনে ছাগুমহাশয় কিছুকাল খোয়ার বন্দী ছিলেন। আমরাও সেই ইতিহাস প্রকল্পের কথা ভেবে মন খারাপ করেছি।
অতঃপর উনি আজ নিজেই এসে হাজির হলেন। কিন্তু সমস্যা হলো গত বছরের শুরুতে যে বিষয়ে নারাজি হয়ে উনি ইতিহাস প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন - আজও সেই প্রশ্নমালা জনসমক্ষে উপস্থাপন করেছে।
তাই ভাবছি - গত একবছর ধরে নতুন কো কাঠাল পাতা না পেয়ে ছাগলটা কি শুধু জাবরই কাটলো?
তাইলে কি প্রমানিত হয় - ছাগল বছর ব্যাপী নতুন খাবার না খেয়ে শুধু জাবর কেটেই বেঁচে থাকতে পারে?