শাফিক আফতাব------------
পুবে বিশাল কান্দর, খোয়ারে একটি বকোন আর ষাড় মুখোমুখি জাবর কাটে,
আর চোখে চোখে কথা কয়, বকোন হাম্বা স্বরে নাচায় তার উপদ্রুত সীমানা ;
ষাড় লেজ নেড়ে শুঁকে যায় তার কামনাপ্রবণ এলাকা ; জিহ্বায় চেটে
সে এক পশলা প্রসাব করে, আর বকোনের সেই স্থানে তখন ছোটে ফেনা।
কৃষক বধু পল আর গুড়ো দিতে এসে দেখে তাদের হৃদ্যতার বহর,
তারও ব্লাউজহীন শাড়ীর নিচে নেচে ওঠে লকলকে স্তনের বাট ;
শীরশীর বাতাসেরা কৃষাণীর চুলে আঁচলে খেয়ে যায় পুলকের সর ;
আলগোছে সন্তর্পণে তারও খুলে যায় অন্তর্গত গোপণ এক্সক্লুসিভ কপাট।
আজ গরুগুলো গোয়ালে তুলে কৃষাণী ভাত রাঁধে, সাথে শিং মাছের ঝোল ;
কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ আকাশে ডুবে গেলে কৃষাণীও তুলে ঝড়ের তাণ্ডব,
শীতরাতের মাঝরাতে গুঁদরী কাঁথার ভেতর দুজনার ওঠে আবহমান রোল ;
নিশিরাত যায়, বাতাসে সুবাসের ঘ্রাণ, আহা পাগল যেন দু’পাণ্ডব।
শীতসকাল বকোন আর কৃষাণী যথা সময়ে প্রসব করে ফুলের জাতক ;
সোনারোদ তাদের চোখে আলো দিয়ে যায়, আহা কী খুশি শাশ্বত কৃষক!
নিসর্গ : ঢাকা
২৯.০৫.২০১৩