somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈষম্যের ভূমিতে কি সঠিক বিচার সম্ভব?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের সমাজ কোন একটা তান্ত্রিকতো হবেই এখানে শৃংখলার স্বার্থেই। আপনি পুরূষ হয়ে যদি নারী হয়ে যেতে চান তাতে মুসলুমানরা আপনাকে কিছু করতে পারবেনা। একই ভাবে বিপরীত করতে চাইলেও ইসলামের কিছু করার নাই। ইসলাম নারী এবং পুরূষকে তার যথাযথ স্থানে রেখেই সম্মান দিতে চায়। -আবুসামীহা

শৃঙ্খলা যদি হয় নিয়মানুবর্তীতা, নিয়মানুবর্তীতা যদি হয় শান্তিময়তা তাইলে সেইখানে কিরূপে বৈষম্য থাকে? এই প্রশ্ন আমারে তাড়ায় সেই শৈশব থেইকাই...শান্তি মানে কি? প্রশ্নহীনতার কোন একটা ফর্ম? একদল মানুষ তারা ক্ষমতায় থাকবো আর তারা ছড়ি ঘুরাইবো...নিয়ম বানাইবো, নিয়ম পাল্টাইবো, নিয়ম অগ্রাহ্য করবো...আর আরেকদল যেহেতু তারা নিয়মের কারনেই অধস্তনঃ, তাই তারা সব সয়ে যাবে আদিগন্তকালে...তাগো দোষ কারন তারা জন্মাইছে একটা ভিন্ন ক্রোমোজোম লইয়া...তাগো শারিরীক গঠন ভিন্ন হইছে কালের প্রবাহে...আর তারা যেহেতু নারী...

সমাজতত্ত্বে আর সমাজ বিকাশের তত্ত্বে একটা বই পড়ানো হয় বা তা অবশ্যপাঠ্য হইয়া উঠে, এঙ্গেলস সাহেবের এই বইয়ের নাম The Origin of the Family: Private Property and the State, বইয়ের শুরুতে তিনি একলাইনে খুব চমৎকার কইরা বলেন মানব সভ্যতার ইতিহাস, উৎপাদন আর পুনরুৎপাদনের ইতিহাস । তয় এই উৎপাদন আর পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিন্তু সমাজের যেই তান্ত্রিকতা নির্ভর রূপ আমরা প্রায়শঃ পাই বিভিন্ন গবেষণা(?)মূলক ব্লগপোস্ট বা আর্টিকেলে, তার বিভাজন শুরু হয় নাই। পুনরুৎপাদনের যন্ত্রনা আর বাড়তি দায়িত্বের চাপ মিটাইতে গিয়া নারী ধীরে ধীরে গৃহমুখী হয়...আর পুরুষেরা উৎপাদন যন্ত্রের খাদেমদার হইয়া হয় ক্ষমতাধর...পুরুষ এইখানে একটা অনৈতিক চর্চ্চা করে। যাই হোক এই খানে সমাজতত্ত্বের ক্লাস করানের কোন বাসনা আমার নাই...তয় শৃঙ্খলা নিয়া যেই অবতারনা তার ব্যাপারে কিছু একটা লিখতে বাঞ্ছা হয়।

সমাজ কি একটা চিড়িয়াখানা আসলেই! যেইখানে যারা ক্ষমতার লাগাম ধরে, তারা সব বুদ্ধিমান, শৃঙ্খলাপ্রবন আর নীতিনিষ্ঠ...এর বাইরে যারা অধঃস্তন তারা সব বিপরীতমুখী অস্তিত্ব। সমাজের এই বিপরীতমুখী দুই অংশের সম্মাননা আলাদারম দিতে হইবো? মানে শাসকের লেইগা একরম সম্মাননা আর শোষিতের লেইগা আরেক...আর এই নিয়মে শান্তি আসবো...অধঃস্তনরে তার স্তর অনুযায়ী বিহিত করাটাই নিয়ম...আর এই নিয়ম যারা তৈরী করে তাগো লেইগা নিয়মের বালাই নাই, তাগো নিয়ম হইলো যখন ইচ্ছা তখন নিয়ম পাল্টাইয়া ফেলনের অধিকার...কিন্তু বুদ্ধিমত্তা আসলে কি? জেনেটিক কোন বিষয়? একজন মানুষ তার শারিরীক গঠনের কারনে কি বুদ্ধিমত্তা আর বুদ্ধিবৃত্তির প্রশ্নে পিছাইয়া থাকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মনে হয় এই ব্লগের অধিকাংশ সদস্যগো কাছেই জানা...আর তাই আমার মনে প্রশ্ন তৈরী হয়, বিজ্ঞানের এই জানা তথ্য গুলি কি আমরা কোন বিশ্বাসের কারনে নেগেইট কইরা দিতে পারি?

এতোসব চিন্তার ধারাবাহিকতায় আমার মাথায় আরেকটা প্রশ্ন আসে...সম্মান জানানোটা আসলে কি? স্তরভেদে ভিন্ন আচরন কি সম্মান হয়? পুরুষের লেইগা যেই সম্মান জানানো হয়...সেইটার লেইগা কি নারীর অবমাননা হওনের সম্ভাবনা থাকে না? নারীরে অন্তঃপুরে রাখা, তারে শষ্যক্ষেত্র কওনটা কি সম্মাননা? আমি এইসব প্রশ্নের কোন সরল উত্তর জানি না...তয় বুঝতে পারি, সমাজে আবু সামীহা কথিত তান্ত্রিকতা আসলেই বৈষম্যের সূচনা করে...আর সেইটা শৃঙ্খলার নামে চালাইয়া দেওনটাও নিয়মের মাধ্যমে অনিয়মের একটা প্রকৃষ্ট উদাহরন। ক্ষমতার দখলদারীতে এক শ্রেণী অন্য শ্রেণীর অনুপস্থিতির সুযোগে নিজের তান্ত্রিকতায় সব নিয়ম চাপাইতে শুরু করে...সেইটা ভুল হইলে ভুলই থাকে...তারে বিশ্বাসের কারনে সঠিকতায় রূপান্তরিত করনের চেষ্টা আসলে আরো গভীরে নিয়া যায় সমস্যারে...নির্দিষ্ট ঘরানার তান্ত্রিকতারে আরো বেশি প্রকট করে...যাতে অধঃস্তনগো সম্মাননা উদাসীনতায়ও পৌছাইবার সম্ভাবনা রাখে বা বাস্তবিকই তা'ই হয়।

আর তাই সতর্ক হই বিশ্বাসের বিভিন্ন তত্ত্বায়নে...যেইখানে বৈষম্য আর অনিয়মরে জায়েজ করনের একটা চেষ্টা থাকে। এর চাইতে ভালো অজ্ঞানতা...বিশ্বাসী'রা যুক্তির বচনে গেলে ভয়ঙ্কর হয়...বচনের আর দোষ কি, সিদ্ধান্ততো আগেই লেখা থাকে...
১৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×