জীবনের একটা বড় অংশই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পিছনে ব্যয় করার পর যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করি তখন টের পেলাম যা শিখেছি ক্লাশ রুমে বসে তা একটা অসম্পূর্ন আর খন্ডিত শিক্ষা। সেই শিক্ষা পন্য হিসেবে বিনিময় যোগ্য। জীবনের প্রয়োজন মেটাতে তাকে নগদায়ন করা যায়।
কিন্তু জীবন ধারনের জন্যে - জীবন যাপনের জন্যে সেই শিক্ষা অসম্পূর্ন।
সেই শিক্ষা সাধারনের থেকে নিজেকে আলাদা করার শিক্ষা আর নিজেকে একটা অহংকারী হবার শিক্ষা।
ধীরে ধীরে নিজের তৈরী করা খোলসটাকে ছিড়ে বেড়িয়ে আসা শুরু করলাম।
শিখলাম একজন সাধারন কৃষক থেকে - দায়িত্বশীলতা কাকে বলে।
শিখলাম একজন মৃতপ্রায় শিশুর মরে যাওয়ার আগে পিতার কাছে আব্দার থেকে কিভাবে অন্যরে উপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।
শিখলাম একজন ক্যান্সার রুগীর থেকে জীবনের প্রতিদিন বেঁচে থাকার আনন্দটাই আসল।
শিখলাম একজন ভিখারী থেকে ধৈর্য্য কত দুর পর্যন্ত যেতে পারে।
তারপরও শিখছি।
একজন আফ্রিকানকে দেখে শিখছি ...
একজন চীনাকে দেখে শিখছি...
একজন ককেশিয়ান থেকে শিখছি...
তারপরও কি শেখা শেষ হবে ...
মনে হয় না।
আর ব্লগিং করতে এসে শিখলাম ...
কিভাবে গালি দিয়ে সেটাকে সুশীল সুগার কোটিং করতে হয়..
শিখলাম মাকে পন্য হিসাবে উদাহরন দেওয়া যায় বিতর্কের খাতিরে..
কিন্তু যা দেখলাম না ..
তা হলো বিনয়...
ভুল করার পর ক্ষমা চাওয়ার মতো বিনয়ের বড়ই অভাব ব্লগারদের মধ্যে।
রাগের মাথায় আমরা সবাই আমাদের রিপুর ফাঁদে পা দেই..
যা আমাদের শিক্ষা আর সংস্কৃতির সাথে এক সাথে চলে না
তাকেও প্রচার করি ...
কিন্তু রাগ কমে যাবার পর কি একবারও আমরা বলতে পারি না ..
আমি একটা ভুল করেছি ..
আমি আসলে সেটা বলতে চাইনি..
আমার ভুল হয়ে গেছে..
হয়তো ক্ষমা চাইতেও পারি।
ক্ষমা চাওয়া দূর্বলতা নয়, ক্ষমা না করাই দূর্বলতা।