তবে এই কথা নিশ্চিত বোঝা যেত যে বিচার বিষয়ে
কতশত জটিলতা দলা পাকাচ্ছে মানুষের মগজে;
ঔষধ,ফার্মাসী জ্বর আর ঘোর আমাদের ঘুম নিয়ে আসে
নিয়ন জ্যোছনামদির চোখে,গহ্বরে।
আমিও একদিন
অ-পাঠ্য চিত্রময় এক বইতে পড়েছিলাম
উইন্কলের মগ্নঘুমের কথা,শতবর্ষের ঘুম আমারো পায়;
তবুও মিথিক্যাল বামুন বন্ধুদের দেখা পাইনি আজো।
আজ আমি তাই পাহাড়ে যাব,
সংগে যাবে আমার রোদচশমা,উইয়ে কাটা কোর্তা,আর কিছু লবণ।
পাহাড়ের অনেক গুহায় আমি দেখেছি গুপ্তসাধন,
নির্বানের গোপন বৈঠক!
আমাকে তাড়িয়ে দেয়া হয় সেখান থেকে;
উচ্চকন্ঠে কেউ আমাকে বলে
নাগরিকরা শব্দ ভালোবাসে,আমাদের নৈশব্দ্যর প্রপাত অন্যপথে
চলাচল করে অথচ আমরা সেচ্ছায় আজো শিখিনি
বিজলীবাতির সঠিক ব্যবহার!
ফিরে আসি দক্ষিণ দূয়ারে।অলক্ষণ আমার সংগী হয় চিরকাল;
নিরাকার শিশির অথচ কি শব্দময় তার পতন নভোপ্রাণের গভীর হতে।
আহা!জ্যোছনা বুঝি অতীতের সেইসব
সামুদ্রিক জোয়ারে বিম্বিত হয় আজো।
আজকাল কোনো ফড়িংও চোখে পড়েনা,
পৃথিবীর যাদুঘরে বুঝি সেও লেখাতে চায় নাম;
সত্য বলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভংগ করি
পৃথিবীর কাঠগরায় দাড়িয়ে বিচারক ও সবাইকে
অনিচ্ছাকৃত অপমান করে যাই
এইসব কথা ভেবে,অন্যমনষ্ক হয়ে।
যে জানালায় কেউ সহজে যায়না সে-তো কল্পনা।
সে জানালা দিয়েও
আজকাল কারা যেন পোস্ট করে
যায় উকিল নোটিশ,জরিমানা,
ও আমার সন্ধান চেয়ে সমাজের করুণ আবেদন!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৯