১ম পর্বের লিঙ্ক- Click This Link
সাকিবের বোলার হয়ে ওঠা
শিরোনামটা দেখে অনেকেই হয়ত চমকে উঠবেন। সাকিব তো সবসময়ই বোলার ছিলো, ও আবার কি করে বোলার হয়ে উঠবে? ঘটনা হচ্ছে, আগে সাকিব বোলার ছিল ঠিকই, কিন্তু ঠিক প্রাণঘাতী বোলার ছিলো না। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সাথে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে হঠাৎ করেই সাকিব আমূল বদলে যাওয়া এক বোলার হিসেবে আবির্ভূত হয়। সময়টা ২০০৮ সালের অক্টোবর।
এই টেস্টের আগে কোচ জেমি সিডন্স ঘোষণা দেন সাকিব হচ্ছে তাদের মেইন বোলার। “আব্দুর রাজ্জাক থাকতে সাকিব কেন মেইন বোলার?”-সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেয়নি সিডন্স। সাকিব যে মেইন বোলার এটা প্রমাণ করার জন্যই বোধহয় ওকে ব্যাটিঙে ৮ নাম্বারে নামানো হয়!
সাকিব ঠিকই কোচের কথার সার্থকতা রাখে। যেই সাকিব আগের ৬ টেস্টে মাত্র ৩ উইকেট পায়, সেই সাকিবই ১ম ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়-এখন পর্যন্ত যা সাকিবের সেরা টেস্ট বোলিং পারফরম্যান্স। কি অসাধারণ একটা খেলাই না হয় সেই টেস্টে! ভাবলাম আমরা জিতে যাচ্ছি। ৩০০+ একটা টার্গেট চেজ করছে কিউইরা। অথচ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভেট্টরি। আর সম্ভবত পিচ! টেস্টের ৫ম দিনে এসে একটা পিচ হঠাৎ করে কিভাবে এরকম ব্যাটিং পিচ হয়ে যায় তা আমার মাথায় ঢুকে না।
অথচ এই সিরিজটা আমাদের পুরোপুরি উড়ে যাওয়ার কথা! আফতাব, নাফিসসহ ১৪ ক্রিকেটার আইসিএলে চলে গেছে এই সিরিজ শুরুর আগে। অন্য কারো জন্য আমার খুব একটা আফসোস হয়না, কিন্তু আফতাবকে খুব মিস করি। খুবই মিস করি। আফতাব কি ফর্মেই না ছিল তখন! টেস্টেও তার ব্যাটিঙে আমি পরিবর্তন দেখছিলাম। এর আগের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ওর কিছু ইনিংস দেখেই আমি বুঝেছিলাম যে ও আস্তে আস্তে টেস্টেও দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হয়ে উঠবে। কিন্তু কি হয়ে গেল মাঝখান দিয়ে।
রফিক চলে যাওয়ার পর আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যত টেস্ট বোলার কে হবে এইটা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু সাকিবের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আমার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও দূর করেছে। রফিককেও ছাড়িয়ে গেছে সাকিব। নিজের সীমানা নিয়ে গেছে আকাশে। যেখানে সবাই পৌঁছাতে পারে না। অসাধারণ ট্যালেন্টড কিছু খেলোয়ারই পারে।
(চলবে)
©Muhit Alam
৩য় পর্বের লিঙ্ক- Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭