আমার এক বন্ধু বলেছেন ," যারা মাথার বদলে হাত দিয়ে চিন্তা করেন , তাদের থেকে দূরে থাকতে।" তাই দূরে বসে শিশুরোগ সম্পর্কে আমার প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু অবজারভেশন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
১। আপনারা হয়ত লক্ষ্য করে থাকবেন , মায়ের পেটের ভিতরের পরিবেশ আর বাইরের পরিবেশ একেবারেই আলাদা । মায়ের পেটের ভিতরে রক্ষাকারী থলের অভ্যন্তরে বসে থাকলে যে কোন শিশু ( ছাগল অথবা মানুষ , এনিথিং) থাকে প্রটেক্টেড । কিন্তু যখনই সে জরায়ু পথে ( ক্ষেত্রবিশেষে পায়ু অথবা বায়ুপথে) বাহিরের নোংরা ,ময়লা , বীজাণুময় পৃথিবীতে জন্ম নেয় , তখন তার শিশু বা নিওশিশু জীবনে নেমে আসে বিপদের ঘনঘটা ।
২। মাঝে মাঝে জন্মের পরপরই শিশুর পেটে অবস্থিত ই কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায় । এতে তার পেটে অনেক গ্যাস জন্মায় আর শিশু ব্যথায় চিল্লাপাল্লা করে । তখন যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি শিশুটির পায়ু পথে পানের বোটা অথবা আঙ্গুল দেয় , জমে থাকা গ্যাসের সাথে সবুজ রঙের পায়খানা বেরিয়ে আসে এবং ব্যথার সাময়িক উপশম হয় । রঙটা হালকা সবুজ থেকে কচি পাতার মত হতে পারে । এই ধরনের সবুজ পায়খানা করলে ভয় না পেয়ে শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
৩। এই শিশু যখন না বুঝে এটা সেটা মুখে দিয়ে ফেলে তখন দেখা দেয় পেটের গন্ডগোল ।কারন এই বয়সে শিশুর হজমী শক্তি থাকে কম ।আর এই কারনে দেখা দেয় পাতলা পায়খানা । যেহেতু এই বয়সের শিশুরা দুধ ছাড়া কিছু খায় না , তাই কোনটা স্বাভাবিক পায়খানা আর কোনটা ডায়রিয়া বুঝাটা ডিফিকাল্ট হয়ে পড়ে ।
খুব খেয়াল করে দেখবেন , সাধারনত পায়খানায় সলিড বস্তুর পরিমান কম । তবে ঘন ঘন বের হয় । দুর্গন্ধযুক্ত । ছোট ছোট গোল গোল দানা আকৃতির ।
দানাগুলোর রঙ হলদে ।