আবুলের ফোন পেয়ে আমি কোন চিন্তা না করেই বললাম,হ্যা,করবো।(আবুল পরে বলেছিল যে সে নাকি ভাবেনি আমি সিলেটে যাবো।)আমার সিদ্ধান্ত জেনে আম্মা আর বড় ভাই কিছুটা রাগ করলো।তবু আমি সিলেটে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলাম কারণ আরণ্যক বইটা পড়ে আমার মনে শহরের কোলাহল থেকে দূরে নিরিবিলি কোথাও থাকার ইচ্ছা দানা বেঁধেছিল।আর আবুলের চাকরীর প্রস্তাবটা ছিল সিলেট শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলো দূরে ফেঞ্চুগন্জে।
কাজেই একদিন টিকেট কেটে ট্রেনে উঠে পড়লাম।এই প্রথম কোন ছোট ষ্টেশনে নামবো।ষ্টেশনের নাম মাইজগাঁও।আবুল গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল।আকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে কর্মস্হলে পৌঁছলাম।আবুল সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।
থাকা খাওয়ার ব্যবস্হা রেষ্ট হাউজে কাজেই অফিসের কাজের পর অফুরন্ত অবসর।এই সময় আবুলকে সাথে নিয়ে আশেপাশে ঘুরতে যেতাম।হাওড় এলাকা।অনেক দূরে দূরে একটা দুইটা বাড়ি।
প্রায় রাতে আমরা সমবয়সী কয়েকজন মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম।বিশেষ করে পূর্ণিমা রাতে আমরা নিয়মিত বের হতাম,কখনও ফেঞ্চুগন্জ ব্রীজ,ফেঞ্চুগন্জ ডিগ্রী কলেজ,হাকালুকি হাওড় কখনও কোন চা বাগানের ধারে।
কখনও কখনও গভীর রাতে অনেক দূর রাস্তায় আমি একা একা হেটেছি জোছনা দেখার জন্য।