somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাপানে নেতাজি সুভাষ বসু

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টোকিও থেকে : আমাদের বাঙালি জীবনে এমন কতিপয় ব্যক্তিত্ব আছেন যাঁরা যুগের পর যুগ রোমান্টিক নায়ক হিসেবে স্মৃতিতে বেঁচে থাকবেন। তাঁরা হলেন স্বামী বিবেকানন্দ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ভবিষ্যতে যত প্রজন্ম আসবে তাদের মনে রোমাঞ্চকর দোলা দিয়ে যাবেন তাঁরা। যেমন আমাদের কৈশোর ও তরুণকালে তাঁরা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছেন। প্রবীণদের ভাবনায়ও দেখেছি তাঁরা কখনো প্রবীণ হননি।

যেহেতু প্রসঙ্গটা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে তখন নিঃসঙ্গ রোম্যান্টিক একজন সেনাধ্যক্ষ আমার মাথার মধ্যে নড়েচড়ে ওঠেন। ১৯৪২ সালে যখন তিনি জার্মানির কিল বন্দর থেকে ডুবোজাহাজে করে পালিয়ে এসে জাপানি নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন তখন জলযানে যেভাবে বসেছিলেন সেই মুখাবয়বটি দেখলে বুকটা কেমন করে ওঠে।

মুখের ওপর এমন একটি আভাস ফুটে উঠেছিল সেটা স্পষ্টতই নির্দেশ করছিল: একদিকে বিদেশি শৃঙ্খল থেকে মাতৃভূমি ভারতকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার রোমাঞ্চ আর অন্যদিকে প্রিয়তমা পতœী এমিলি সেঙ্কেলকে জার্মানিতে একা ফেলে আসার কারণে অতলান্ত বিষণœতা।

অস্ট্রিয়ায় জন্ম এমিলি ছিলেন তাঁরই ব্যক্তিগত সচিব। জাপানে আসার পর থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে জীবদ্দশায় তিনি আর দ্বিতীয়বার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তাঁদের দুজনের জীবন এক বিয়োগান্ত বাস্তব চলচ্চিত্র।

যে তিনজন প্রবাসী মহাবিপ্লবী লড়াকু বীর যথাক্রমে রাসবিহারী বসু, হেরম্বলাল গুপ্ত এবং সুভাষচন্দ্র বসু জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের স্বাধীনতার জন্য অমূল্য অবদান রেখে গেছেন তাঁদের তিনজনই দাম্পত্যজীবন উপভোগ করতে পারেননি।

রাসবিহারী বসুর বুদ্ধিতাত্ত্বিক কূটনৈতিক সাফল্যের কারণেই জার্মানি প্রবাসী সুভাষচন্দ্র বসু জাপানে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিহারী বসু না থাকলে জাপানের সঙ্গে নেতাজির সম্পর্ক স্থাপিত হতো কিনা বলা মুশকিল।

কেননা তৎকালীন জাপান সাম্রাজ্যে আশ্রিত বিপ্লবীদের মধ্যে বিহারী বসুর মতো প্রভাবশালী আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সমস্ত শক্তির উৎস ছিলেন তখনকার জাপানি রাজনৈতিক জগতে একচ্ছত্র প্রভাবশালী রাজনৈতিক গুরু গণমুক্তি আন্দোলনের নেতা এবং কট্টোর জাতীয়তাবাদী চিন্তাবিদ তোয়ামা মিৎসুরু।

তোয়ামা জাপ-বৃটিশ মৈত্রী চুক্তিকে অগ্রাহ্য করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে রাসবিহারী বসু এবং হেরম্বলাল গুপ্তকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন। তোয়ামা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এইসব অসম্ভব কাজ সবই সম্ভব হয়েছিল রাসবিহারী বসুর কারণে এটা নেতাজি ভালো করেই জানতেন ও বুঝতেন।

তাইতো ১৯৪২ সালে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজের (আইএনএ) এক মহাসংবর্ধনা সভায় সুভাষ বসুকে তিনিই ‘নেতাজি’ উপাধিতে ভূষিত করেন বলে জানা যায়। আইএনএ-র দায়িত্বও নেতাজির হাতে অর্পন করেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা অসুস্থ রাসবিহারী বসু।

নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান সেনাপতি হলে পরে ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে। তৎকালীন জাপানে প্রধানমন্ত্রী ও যুদ্ধমন্ত্রী জেনারেল তোজো হিদেকি ও নেতাজির মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতা চুক্তিরও আয়োজন করেন নেপথ্যে থেকে রাসবিহারী বসু।

তারপর পরিকল্পনা অনুসারে ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী ইম্ফল অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন নেতাজি ১৯৪৫ সালে। তখন তুমুলভাবে চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু আগস্ট মাসে জাপান হঠাৎ করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়ে মিত্রশক্তি আমেরিকার কাছে আত্মসমর্পন করলে মনিপুর প্রদেশের সন্নিকট ইম্ফল সামরিক অভিযান ব্যর্থ হয়।

তারপরেও নেতাজির নির্দেশে যুদ্ধ করতে থাকেন ভারতীয় সেনারা। কিন্তু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হলে রসদ দরকার, বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্রশস্ত্র দরকার, অর্থকড়িও প্রয়োজন। নেতাজি রাশিয়ার কথা ভাবলেন।

ভিয়েতনাম থেকে একটি ক্ষুদ্র জাপানি যুদ্ধবিমানে (৯৭ মডেল টাইপ-২) করে তাইওয়ান হয়ে রাশিয়ার পথে রওয়ানা দেন।

পথিমধ্যে জ্বালানি সংগ্রহ করে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের মাৎসুয়ামা বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরপরই এক দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বলে নেতাজির প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও গ্রন্থাদি থেকে জানা যায়।

নেতাজির জাপানি সহকর্মী ও ভক্তরা তাঁর চিতাভস্ম জাপানে বয়ে নিয়ে এলে নেতাজির আরেক ভক্ত টোকিওর সুগিনামি ওয়ার্ডের রেনকোজি বৌদ্ধমন্দিরের প্রধান পুরোহিত রেভারেন্ড মোচিজুকি সেই চিতাভস্ম মন্দিরে সংরক্ষণ করেন এই প্রতীজ্ঞতায় যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে পরে নেতাজির পবিত্র চিতাভস্ম জন্মভূতিতে ফিরিয়ে দেবেন।

কিন্তু নানা রকম জটিলতার কারণে আজও নেতাজির চিতাভস্ম জাপানেই রয়ে গেছে। প্রতি বছর ১৮ তারিখে নেতাজির প্রয়াণ দিবসে জাপানি পদ্ধতিতে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

আগে আয়োজন করত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একাডেমীÑ এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নেতাজি ভক্ত হায়াশিদা তাৎসুও, হায়াশি মাসাও, মেজর ইতাকুরা প্রমুখের উদ্যোগে ১৯৫৮ সালে।

তখন প্রায় ১০০ জন প্রবীণ নেতাজি ভক্ত ছিলেন। কালক্রমে একে একে অনেকেরই মৃত্যু হওয়ার কারণে এখন একাডেমী বিলুপ্ত। নেতাজি জাপানে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন স্বাধীনতার বীর সৈনিক কাজেই যতদিন তাঁর চিতাভস্ম জাপানে আছে ততদিন মন্দির কর্তৃপক্ষ স্মরণসভার আয়োজন করে যাবে।

এখনো প্রতি বছর ১৮ আগস্ট মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয় নেতাজি ভক্তদের জন্য। প্রায় ৭০/৮০ জন নেতাজি ভক্ত জাপানি নাগরিক মন্দিরে এসে প্রার্থনা করেন তারপর মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করে নেতাজি সম্পর্কে স্মৃতিচারণ এবং আলোচনা করেন।

ভারতীয় দূতাবাস থেকে উপরাষ্ট্রদূত উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন না। সেখানে বিগত এক যুগ ধরে আমি অংশ গ্রহণ করার ফলে একাধিক নেতাজি ভক্তের সঙ্গে পরিচয় ঘটে যাঁরা নেতাজির সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে ক্যাপ্টেন ফুজি, হায়াশি মাসাও, বার্মায় নেতাজির দেহরক্ষী ইয়ামাদা কাঅরু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

কেউ কেউ নেতাজিকে নিয়ে গ্রন্থও লিখেছেন। গবেষণা করছেন যেমন তেইকোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গেন্ নাকামুরা। কেউ কেউ নেতাজি প্রদত্ত উপহার স্মৃতি হিসেবে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘক্ষণ তারা আবেগঘন কন্ঠে নেতাজির তেজস্বিতা, বুদ্ধিমত্তা, সুনেতৃত্ব, অমায়িক ব্যবহারের কথা বার বার ব্যক্ত করেন। আলোচনা এত জীবন্ত যে মনে হয় যেন নেতাজি তখন তাঁদের চোখের সামনে আছেন! শ্রদ্ধায়, ভক্তিতে তাঁদের মাথা নুয়ে আসে।

এটা সত্যি যে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক, বিভ্রান্তি ও সন্দেহ। তাঁকে বৃটিশ সরকার একদল জাপানি নৌসেনা অফিসারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে, রাশিয়া তাঁকে হত্যা করেছে নেহেরুর গোপন শলাপরামর্শে বলেও মতামত রয়েছে।

কিন্তু নেতাজির পরিবার তো এখনো বিশ্বাস করে নেতাজি মারা যাননি, হিমালয় পর্বতের কোনো গুহায় তপস্যা করছেন শতবর্ষী বয়সেও! কিন্তু নেতাজির কন্যা অনিতার বিশ্বাস নেতাজি তাইওয়ানেই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং ভারত সরকারকে বারংবার অনুরোধ করে আসছেন তাঁর পবিত্র চিতাভস্ম স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার জন্য।

কিন্তু ভারত সরকার তেমন গা করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণই হচ্ছে ধর্মীয় বলে কোনো কোনো জাপানি গবেষকের বিশ্বাস। কাজেই নেতাজি এখনো প্রবাসী। নেতাজির চিতাভস্মের ডিএন পরীক্ষা নিয়েও রহস্যজনক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

১৯৯৫ সালে সুভাষচন্দ্র একাডেমী জাপান নেতাজির ৫০তম তিরোধান দিবস স্মরণে বর্তমান ধাতব মূর্তিটি মন্দিরের প্রাঙ্গণে স্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী জাপান সফরে এলে তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ-বাণী পাথরে খোদাই করা হয়।

এই স্মারক মূর্তিটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভারতীয়রা আসেন এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যান। কিন্তু বাংলাদেশিদের পদধূলি পরে কদাচিৎ। আমি যে ক’জন বাংলাদেশিকে এখানে নিয়ে এসেছিলাম তাঁরা হলেন- সাংবাদিক চিত্ত রিবেরু, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি ও সাংবাদিক সমুদ্র গুপ্ত, এফবিসিসিআই এর প্রাক্তণ সহ-সভাপতি দেওয়ান সুলতান আহমেদ, লেখক, গবেষক ও ঢাকা জাদুঘরের প্রাক্তন মহাপরিচালক সমর পাল, লেখক ও অনুবাদক ফখরুজ্জামান চৌধুরী, লেখিকা ও অভিনয়শিল্পী দিলালা জামান, লোক সাহিত্য গবেষক ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রমুখ।

জানা যায় বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত রেনকোজি মন্দিরে যাননি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে। কেউ কেউ ‘নেতাজি এখন ভারতীয় নাগরিক’ বিধায় সেখানে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন।

১৯৫৭ সালে জওহরলাল নেহেরু যখন কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে প্রথম জাপান সফরে আসেন রেনকোজি মন্দিরে পা রেখেছিলেন। তোজো ও নেতাজির যৌথ লড়াইয়ের ফলেই ভারত তার আরাধ্য স্বাধীনতা লাভ করেছিল। কলকাতায় নেতাজির নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের কাছেও নেতাজি নতুন করে উঠে আসছেন এটা শুভদিক। সত্যিকার জাতীয়তাবাদ কাকে বলে তাঁর কাছ থেকেই শিখতে হবে বলে কোনো কোনো তরুণ জাপানি ভক্তের মন্তব্য শোনা যায়। ইতিহাস সচেতন জাপানিদের চেতনা থেকে নেতাজিকে মুছে ফেলা সহজে সম্ভব হবে না।

একজন জাপানি গবেষক একবার নেতাজির স্মরণসভায় বলেছিলেন, ‘যতদিন বাঙালি ও জাপানি জাতি থাকবে ততদিন নেতাজিও থাকবেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×