somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন (!): আটটি বুলেট শরীরে নিয়ে শেষ হলো মেধাবী ছাত্র “আহমইদ্দ্যা” (শিবির রহস্য)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন আগে দেখলাম একজন জামাতের ছাত্র সংগঠনের ম্যানুয়াল পোস্ট করছিলো। তখন কয়েকজন ব্লগার আমাদের জানালেন যে - শিবির হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন - দলে দলে মেধাবী ছাত্ররা জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবিরে যোগ দিচ্ছে। ইউটিউবের বদৌলতে আমরা দেখেছি - বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন শিবিরে সন্মেলনে একই কথা বলছেন - শিবির মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন। এই বিষয়ে একটু খোঁজ খবরের জন্যে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে কিছু খবর পেলাম। তাতে মেধাবী ছাত্রদের সংগঠনের একটা ছবি এতে ফুঁটে উঠবে - পরে পাঠকগন বিবেচনা করে দেখবেন “মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন” বলতে কি বুঝানো হয়।

আজকের আলোচ্য মেধাবী ছাত্রটি নাম আহমাদুল হক চৌধুরী - যিনি “আহমইদ্দ্যা” হিসাবেই বেশী পরিচিত। এক রাতে আটটি বুলেট শরীরের ভিতরে নিয়ে চলে আসেন চট্রগাম মেডিকেল কলেজে - পরে ধরাধামের মায়া ত্যাগ করে মর্গে শুয়ে থাকেন কয়দিন। তার সাথে তার সাথে মিনহাজ নামে আরেকজন মারা যায়। ( ১০ই সেপ্টেম্বর ২০০৪)

জানা যায় - মৃত মেধাবী ছাত্রটি শিবিরের নেতা - পরে জামাতের ক্যাডার ছিলেন - এক সময় সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। মৃত্যুর আগে উনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন। উল্লেখ্য তার দলত্যাগের সময়কালটি জামাত-বিএনপির ক্ষমতার মধুচন্দ্রিমার কাল হিসাবে বিবেচিত হয়।

শিবিরের এই মেধাবী ছাত্রটির নামে এক ডজন মামলা ছিল - যার মধ্যে ১০টি খুনের মামলা ছিল বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে।

রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার লে: ক: এমদাদুল হক বলছেন -“তার নামে একশত টি খুনের সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে - এবং সে ক্রশ ফায়ারে মারা গেছে”। (এরপর বলা হয়েছে ক্রশফায়ারে বহুল প্রচারিত গল্পটি)

আহমইদ্দ্যা ১৯৯২ সাল থেকেই চট্রগাম জেলা - বিশেষ করে সাতকানিয়া এবং আশে পাশের নির্বাচনী এলাকাতে জামাতের একটা “ক্রাইম সিন্ডিকেট” চালাতো। বিনিময়ে জামাত তাকে নিরাপত্তা দিতো। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত জামাতের এমপির সাথে বিরোধের জের হিসাবে জামাত ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করে। তারপরই তার “ক্রশ ফায়ার” বরন করতে হয়।


পত্রিকা সূত্রে জানা যায় - জামাত ত্যাগের পর তাকে হত্যার জন্যে শিবির ক্যাডাররা দুইবার চেষ্টা করে। এর মধ্যে একটা নেয় জামাতের স্থানীয় এমপির ভাতিজা মঞ্জুর আলম( এপ্রিল ৫, ২০০৪) আর অন্যটা শিবির নেতা আজরাইল দেলওয়ার (১৬ই জুলাই ২০০৪) দুইটি প্রচেষ্টা নেয় - কিন্তু ব্যর্থ হয়।

এই অভিযানের সময় ১০ জন শিবিরের টপ টেররকে গ্রেফতার করা হয়। কুখ্যাত “শিবির নাসির”, “সাজ্জাদ খান”, “ফাইভ স্টার জসিম”, “বাইট্টা আলমগীর”, “তাসলিমউদ্দিন মন্টু”, “বাইট্টা ইউসুফ”, “আজরাইল দেলওয়ার”, মনজুর আলম”, “সারওয়ার আলম”, “ভাগিনা রমজান” - নামক মেধাবী শিবির নেতারা আটকে জেলে ছিল। আর ক্রশ ফায়ারে মারা যায় - হুমায়ুন আর ইয়াকুব।

হামিদুল্লাহ নামে আরেক মেধাবী ছাত্র এবং শিবির কর্মী পুলিশে গুলিতে আহত হয় - পরে আটকাবস্থায় মারা যায়। এছাড়া আরেক মেধাবী শিবির কর্মী মারা যায় তাদের মেধাবী ছাত্রনেতা “গিট্টু নাসির” এর গুলিতে।

এই অবস্থায় - শিবিরের সন্ত্রাসী দলটি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় বলে পুলিশ সুত্রটি জানায়। সেখানে নেতৃত্বে আছে “গিট্টু নাসির”, “হাবিব খান” আর “বিডিআর সেলিম”। গিট্টু নাসির তিন ডজন মামলার আসামী বলে জানা যায় - যার মধ্যে প্রিন্সিপাল গোপাল মুহুরী হত্যার মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছে। আর হাবিব খান কমিশনার লিয়াকত হত্যার আসামী এবং মুহুরী হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত।

এই হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন শিবিরের একটা চিত্র। এরাই পরবর্তীতে “সতলোকের দল জামাত” এর নেতা হবে এবং বাংলাদেশে সতলোকের শাসন কায়েম করবে !

বি:দ্র: - যদি কেহ উপরের খবরগুলোর কোন আপডেট দিতে পারেন - তাহলে বাধিত হবো।

(সূত্র: ডেইলি স্টার, নিউ এজ এবং ইয়াহু নিউজ)

(পূর্বে প্রকাশিত)
১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কোথায় বেনজির ????????

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫




গত ৪ মে সপরিবারে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে। গত ২৬ মে তার পরিবারের সকল স্থাবর সম্পদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×