somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমাম মাহদী (আ.)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিয়া মাযহাবের শেষ ইমাম এবং রাসূল (সা.)-এর বারতম উত্তরাধিকারী ২২৫ হিজরীর ১৫ই শাবান শুক্রবার প্রভাতে (৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে) ইরাকের সামের্রা শহরে জন্মগ্রহণ করেন৷
শিয়া মাযহাবের একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারী (আ.) তাঁর মহান পিতা৷ মাতা হযরত নারজিস খাতুন৷ নারজিস খাতুনের পিতা হলেন রোমের যুবরাজ, আর মাতা আশ্ শামউন সাফার বংশধর হযরত ঈসা (আ.)-এর ওয়াসি এবং নবীগণের বন্ধু হিসাবে পরিচিত৷ নারজিস খাতুন স্বপ্নের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধের ময়দানে যান এবং সেখানে অন্যান্য মুসলমানদের সাথে বন্দি হন৷ ইমাম হাদী আন্ নাকী (আ.) একজনকে প্রেরণ করেন এবং সে নারজিস খাতুনকে কিনে সার্মেরায় ইমামের বাড়িতে নিয়ে আসে (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ২, বাব ৪১, হাদীস ১, পৃষ্ঠা ১৩২)৷
এসম্পর্কে আরও কয়েকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ৫, হাদীস ২৯, পৃ.-২২, এবং হাদীস ১৪ পৃ.-১১) তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হযরত নারজিস কিছুদিন যাবৎ ইমাম হাদী (আ.)-এর বোন হযরত হাকিমা খাতুনের বাড়িতে ছিলেন এবং তিনি তাকে অনেক কিছু শিক্ষা-দীক্ষা দিয়েছিলেন৷ হযরত হাকিমা খাতুন নারজিস খাতুনকে অধিক সম্মান করতেন৷ নারজিস খাতুন হলেন সেই রমনী যার প্রশংসা করে পূর্বেই রাসূল (সা.) (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ৫, হাদীস ২৯, পৃ.-২২, এবং হাদীস ১৪ পৃ.-১১), আলী (আ.) (গাইবাতে শেখ তুসী হাদীস ৪৭৮, পৃ.-৪৭) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.) (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ২, বাব ৩৩, হাদীস ৩১, পৃষ্ঠা ২১) হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে৷ তাকে সর্বোত্তম দাসী এবং তাদের নেত্রী হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য যে ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাতা আরও কয়েকটি নামে যেমন: সুসান, রেহানা, মালিকা এবং সাইকাল (সাকিল) নামে পরিচিত৷

নাম, কুনিয়া ও উপাধি
ইমাম মাহদী (আ.)-এর নাম ও কুনিয়া (যে নাম "আব" অথবা "উম" দিয়ে শুরু হয়ে থাকে যেমনঃ আবা আবদিল্লাহ ও উম্মুল বানিন) রাসূল (সা.)-এর নাম ও কুনিয়ার অনুরূপ৷ কিছু সংখ্যক হাদীসে তাঁর আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত তাকে নাম ধরে ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে৷
ইমাম যামানার প্রসিদ্ধ উপাধিসমূহ হচেছ: মাহ্দী, কায়েম, মুনতাযার, বাকিয়াতুল্লাহ, হুজ্জাত, খালাফে সালেহ, মানসুর, সাহেবুল আমর, সাহেবুয্ যামান এবং ওলী আসর আর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হল মাহ্দী৷
প্রতিটি উপাধিই মহান ইমাম সম্পর্কে এক বিশেষ বাণীর বার্তাবাহক৷
ঐ মহান ইমামকে "মাহ্দী" বলা হয়েছে৷ কারণ তিনি নিজে হেদায়াত প্রাপ্ত এবং অন্যদেরকে সঠিক পথে হেদায়াত করবেন৷ তাঁকে "কায়েম" বলা হয়েছে৷ কেননা তিনি সত্যের জন্য সংগ্রাম করবেন৷ তাঁকে "মুনতাযার" বলা হয়েছে৷ কেননা সকলেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে৷ তাঁকে "বাকিয়াতুল্লাহ" বলা হয়েছে৷ কেননা তিনি হচেছন আল্লাহর হুজ্জাত এবং গচিছত শেষ সম্পদ৷
"হুজ্জাত" অর্থাৎ সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর স্পষ্ট দলিল এবং "খালাফে সালেহ"-এর অর্থ হচেছ আল্লাহর ওয়ালিগণের উত্তরাধিকারী৷ তিনি "মানসুর" কেননা আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করবেন৷ তিনি "সাহেবুল আমর" কেননা ঐশী ন্যায়পরায়ণ সরকার গঠনের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যান্ত হয়েছে৷ তিনি "সাহেবুয্ যামান" এবং "ওয়ালি আসর" কেননা তিনি হচেছন তাঁর সময়ের একছত্র অধিপতি৷

জন্মের ঘটনা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হতে বহুসংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে তাঁর বংশ হতে মাহ্দী নামক একজন ব্যক্তি অদ্ভুথ্যান করবেন এবং তিনি অত্যাচারের ভিতকে সমূলে উৎপাটন করবেন৷ অত্যাচারী আববাসীয় শাসকরা এঘটনা জানতে পেরে ইমাম মাহদী (আ.)-কে তাঁর জন্মলগ্নেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সুতরাং ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর সময় থেকে মাসুম ইমামগণের জীবন-যাপন কড়া সীমাবদ্ধতার মধ্যে চলে আসে এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর সময়ে এ পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌছায়৷ এমনকি ইমাম (আ.)-এর গৃহের অতি সামান্য আসা যাওয়ার বিষয়ও শাসকবর্গের নখদর্পনে থাকত৷ অতএব এমতাবস্থায় শেষ ইমাম তথা ঐশী নবজাতকের জন্ম গোপনে বা লোকচক্ষুর আড়ালে হওয়াটাই বাঞ্চনীয়৷ ঠিক একারণেই ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর অতি নিকট আত্মীয়রাও ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মের ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না৷ এমনকি জন্মের কয়েক ঘন্টা পূর্বেও হযরত নারজিস খাতুনের গর্ভবতী অবস্থা পরিদৃষ্ট ছিল না৷
হযরত ইমাম মুহাম্মদ তকী আল জাওয়াদ (আ.)-এর কন্যা হাকিমাহ বলেন যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাকে বললেন:
"ফুপি আম্মা আজকে ১৫ই শাবান, আমাদের সাথে ইফতার করুন৷ কেননা, আজ রাতে (রাতের শেষ ভাগে) আল্লাহ তার বরকতময় হুজ্জাতকে দুনিয়াতে প্রেরণ করবেন৷"
আমি বললাম: "এই বরকতময় নবজাতকের জননী কে?"
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: "নারজিস৷"
আমি বললাম: "কিন্তু আমি তো তার কোন আলামত দেখছি না!"
ইমাম (আ.) বললেন: "কল্যাণ এর মধ্যেই নিহিত, আমি যা বলেছি তা ঘটবেই ইনশা আল্লাহ৷"
আমি নারজিস খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে সালাম করে বসলাম, সে আমার পায়ের থেকে জুতা খুলে বলল: শুভ রাত্র হে আমার, নেত্রী৷
আমি বললাম: "তুমি আমার এবং আমাদের পরিবারের মহারাণী৷"
নারজিস খাতুন বললেন: "না! আমি কোথায় আর এ মর্যাদা কোথায়৷"
আমি বললাম: "হে আমার কন্যা! আল্লাহপাক তোমাকে আজ রাত্রে এমন একটি সন্তান দান করবেন যে দুনিয়া ও আখেরাতের নেতা৷"
একথা শোনার পর সে বিনয় ও লাজুকতার সাথে বসে পড়ল৷ আমি নামায-কালাম পড়ে ইফতার করে শুয়ে পড়লাম৷
মধ্যরাত্রে উঠে তাহাজ্জতের নামায পড়লাম৷ নারজিস ঘুমাচিছল কিন্তু বাচচা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না৷ নামায শেষে পুনরায় শুয়ে পড়লাম৷
কিছুক্ষণ পর ঘুম ভেঙ্গে গেল দেখলাম নারজিস নামায পড়ছে কিন্তু বাচচা হওয়ার কোন আলামত দেখতে পেলাম না৷ তখন আমার সন্দেহ হল ইমাম হয়ত ঠিক বুঝতে পারে নি৷
এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাঁর শোয়ার ঘর থেকে উচচস্বরে বললেন,
لا تعجلي يا عمه فانّ الامر قد قرب
"ফুপি আম্মা ব্যস্ত হবেন না বাচচা হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে৷"
একথা শোনার পর আমি সুরা সাজদা এবং সুরা ইয়াছিন পড়তে লাগলাম৷ এর মধ্যে হটাৎ নারজিস লাফিয়ে উঠলে আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার ব্যথা অনুভব হচেছ? বলল, "হ্যাঁ ফুপি৷"
আমি বললাম: চিন্তার কোন কারণ নেই ধৈর্য ধর, তোমাকে যে সুসংবাদ দিয়েছিলাম এটা তারই পূর্বাভাস৷
অতঃপর আমি ও নারজিস সামান্য ঘুমালাম, জেগে দেখি সেই চোখের মণি জন্মগ্রহণ করেছে এবং সেজদা করছে৷ তাকে কোলে নিয়ে দেখলাম সম্পুর্ণ পাক ও পবিত্র কোন ময়লা তার গায়ে নেই৷ এমন সময় ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন, "ফুপি আম্মা আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন৷"
আমি নবজাতককে তাঁর কাছে নিয়ে গেলাম তিনি শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন এবং নিজের জিহবাকে তার মুখে দিলেন এবং চোখে ও কানে হাত বুলালেন এবং বললেন:
تكلم يا بنيّ
"আমার সাথে কথা বল হে আমার পুত্র৷"
পবিত্র শিশুটি বলল:
اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له و اشهد محمد رسول الله
অতঃপর ইমাম আলী (আ.) সহ সকল ইমাম (আ.) গণের উপর দরুদ পাঠ করলেন৷
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) বললেন: "ফুপি! তাকে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে যান সে মাকে সালাম করবে, তারপর আমার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন৷"
তাকে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলাম, সে মাকে সালাম করল নারজিস সালামের উত্তর দিল এবং আবার তাকে তাঁর পিতার কাছে নিয়ে গেলাম৷
হাকিমা খাতুন বলেন, 'পরের দিন আমি ইমাম হাসান আসকারী (আঃ)-এর কাছে গিয়ে সালাম করলাম এবং ঘরে ঢুকে নবজাতককে দেখতে পেলাম না৷ ইমামের কাছে জানতে চাইলাম, 'ইমাম মাহ্দী কোথায়, তাঁকে দেখছিনা কেন, তাঁর কি হয়েছে? ইমাম বললেন: "ফুপি, তাকে তাঁর কাছে শপে দিয়েছি যার কাছে হযরত মুসার মাতা মুসা (আ.)-কে শপে দিয়েছিলেন৷"
হাকিমা খাতুন বলেন, 'সপ্তম দিনে আবার ইমামের বাসায় গেলাম এবং ইমাম আমাকে বললেন: "ফুপি, আমার সন্তানকে আমার কাছে নিয়ে আসুন! আমি তাঁকে ইমামের কাছে নিয়ে আসলাম৷ ইমাম বললেন: "হে আমার সন্তান! কথা বল! শিশুটি মুখ খুললেন এবং কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন৷ অতঃপর মহানবী ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি দরুদ পাঠ করলেন৷ অতঃপর এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
﴿بِسْمِ اللّهِ الرّحْمَنِ الرّحيمِ * وَ نُريدُ أَنْ نَمُنّ عَلَي الّذينَ اسْتُضْعِفوا فِي الْأَرْضِ وَ نَجْعَلَهُمْ أَئِمّةً وَ نَجْعَلَهُمُ الْوَرِثينَ وَ نُمَكنَ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَ نُرِيَ فِرْعَوْنَ وَ هَمَنَ وَ جُنوذَهُما مِنْهُمْ ما كانوا يَحْذَرونَ﴾
"আমি ইচছা করলাম পৃথিবীতে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে এবং উত্তরাধিকারী করতে৷' এবং তাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে, আর ফিরাউন হামান ও তাদের বাহিনীকে তা দেখিয়ে দিতে যা তাদের নিকট তারা আশঙ্কা করত" (সূরা কাসাস আয়াত নং ৫,৬/ কামালুদ্দিন, খণ্ড-২, বাবে ৪২, হাদীস নং-১, পৃ.-১৪৩)৷

আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য
রাসূল (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত (আ.)-এর বাণীতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরছি:
তাঁর চেহারা যুবক এবং গৌরবর্ণেও, কপাল প্রশস্ত ও উজ্বল, ভ্রু চাঁদের মত, চোখের রং কালো ও টানা টানা, টানা নাক ও সুন্দর, দাঁতগুলো চকচকে৷ ইমামের ডান চোয়ালে একটি কালো তিল আছে এবং কাধের মাঝে নবীগণের মত চিহ্ন আছে৷ তাঁর গঠন সুঠাম ও আকর্ষণীয়৷
পবিত্র ইমামদের পক্ষ থেকে তাঁর সম্পর্কে যে সকল বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরা হল:
ইমাম মাহদী (আ.) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন, সংযমি এবং সাধারণ, ধৈর্যশীল এবং দয়ালু, সৎকর্মশীল ও ন্যায়পরায়ন৷ তিনি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধনভান্ডার৷ তাঁর সম্পূর্ণ অস্তিত্ব জুড়ে পবিত্রতা এবং বরকতের ঝর্ণাধারা৷ তিনি জিহাদী ও সংগ্রামী, বিশ্বজনীন নেতা, মহান বিপ্লবী এবং তিনি প্রতিশ্রুত শেষ সংষ্কারক ও মুক্তিদাতা৷ সেই জ্যোর্তিময় অস্তিত্ব রাসূলের বংশধর, হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরার সন্তান এবং সাইয়্যেদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর নবম বংশধর৷ তিনি মক্কা শরিফে আবির্ভূত হবেন এবং তাঁর হাতে থাকবে রাসূল (সা.)-এর ঝাণ্ডা৷ তিনি সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করবেন ও আল্লাহর শরিয়তকে সারাবিশ্বে প্রচলিত করবেন৷ এ পৃথিবী অন্যায় অত্যাচারে পরিপূর্ণ হওয়ার পর তিনি তা ন্যায়-নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন (মুনতাখাবুল আছার দ্বিতীয় অধ্যায় পৃ.-২৩৯-২৮৩)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর জীবনি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত:
১৷ গুপ্ত অবস্থা: জন্মের পর থেকে ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদত পর্যন্ত তিনি গুপ্ত অবস্থায় জীবন-যাপন করেন৷
২৷ অদৃশ্যকাল: ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদতের পর থেকে শুরু হয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশে আবির্ভাব হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা চলতে থাকবে৷
৩৷ আসরে যহুর (আবির্ভাবের সময়): অদৃশ্যকাল শেষ হওয়ার পর মহান আল্লাহর ইচছায় তিনি আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীকে সুখ-শান্তি ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করবেন৷ কেউই তাঁর আবির্ভাবের সময়কে জানেন না৷ ইমাম মাহদী (আ.) নিজেই বলেছেন, 'যারা তাঁর আবির্ভাবের সময়কে নির্ধারণ করবে তারা মিথ্যাবাদী (ইহতিজাজা, খণ্ড-২, পৃ.-৫৪২)৷
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×