মহাকালের একটা গল্প লিখতে চেয়েছি,আর কিছু না।
আমার গল্পের নায়ক কোনও ব্যক্তি না,একটা চিরন্তন
ভালো লাগা,আমার অহংকার,আমার পরিচয়,বাংলা।
সেই বাংলা, যে বাংলায় শহিদমিনার পেয়েছি। রাজপথ
করেছি রক্তাত্ত, রফিকের বুকের তাজা রক্তে। কোথায় সেই
আর্তনাদ? এ তো হিন্দুয়ানার উদাত্ত প্রতিযোগিতা। ঠিক
তাই, খলনায়ক পেয়েছি অনেক,যারা আমাকে চিমটি
দিয়েছে,বাংলাকে পানি দিয়ে গুলিয়ে খেতে বলেছে।
তারা বলে আমি আধুনিক তো নই ই, মুর্খেরও অধম।
বাংরেজি তাদের ভূষণ,অহংকারের পরিমাপক।তাই,
মহাকালের একটা গল্প লিখতে চেয়েছি,আর কিছু না।
আমি তাদের সাথে খুনসুঁটি করেছি,জানতে চেয়েছি;
আপন মাকে তোমরা কি ডাকো? ছোট্ট বোনটির
উচ্ছল হাসি দেখে কেন এতো আনন্দ পাও? কেন তোমার
মুখ থেকে প্রথম ডাক শোনা যায় "মা", একদম খাঁটি
বাংলায়। কোথায় পাবে একুশে ফেব্রুয়ারি? কোথায় পাবে
আটই ফাল্গুনের সেই লাল কৃষ্ণচূড়ার হাহাকার? অদম্য
সাহসী সেই প্রাণোচ্ছল মুখগুলোর আত্মত্যাগ আজ পথে
বসতে চলেছে। তোমরা তর্ক কর, কিন্তু; আমি নীরব
থাকি না। বাংলা কে নিজের আপন সত্তা ভাবি,আমি বাঙ্গালি।
বাংলা আমার প্রাণ,ধর্ম, মায়ের আঁচলের মতো পৃথিবীর
সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।আমার বাঁচার অধিকার।তাই,
মহাকালের একটা গল্প লিখতে চেয়েছি,আর কিছু না।
আমার গল্পের নায়ক কোনও ব্যক্তি না,একটা চিরন্তন
ভাললাগা,আমার অহংকার,আমার পরিচয়,বাংলা। আর
ঠিক তাই ভাষা সৈনিকদের অমর আত্মত্যাগ আমি
বিফলে যেতে দেব না। আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু
দিয়ে হলেও আমি এদেশ থেকে হিন্দি তাড়াবো। যদি
দরকার পরে, আরও সহস্রবার একুশে ফেব্রুয়ারি বানাবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫