কারো ঘুম ভাঙ্গেনা। যাদের ভাঙ্গে তারাও খুব
বেশী জেগে থাকেনা । নিশাচরদের এমনিতেই ঘুম
হয়না। ইদুঁর বিড়াল আরশোলা থাকলে তো নয়ই।
এখন গভীর রাত। কত গভীর, কে জানে? নিশাচর
অন্ধকারের মাপ জোখ রাখে না। অন্ধকারের উচ্চতা
কত? তার তলদেশ কোথায়? সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে সমুদ্র
তলের গভীরতা যেমন! নিশাচর ঠাহর করতে পারেনা।
আমি মনের, মননের, চেতনা কিংবা চৈতন্যের গভীরতা
নিয়েও একই সংশয়ে ভূগি। ওয়েব-ব্লগের আবার আলো
আধাঁর কি? অন্ধকারের আবার গভীরতা কি? আলোকিত
মানুষের উচ্চতা কত? আচ্ছা, মন আলোকিত হলেই বা
কতটা আলো ছড়ায়? অন্ধকার হলেই বা কত?
আলো-আধাঁরের রেখা চিত্র বা জ্যামিতিক স্কেল জানা নেই
আমার। শুধু জানি, এখন অন্ধকার সময়। চারিদিকে ইদুঁর
বেড়াল আরশোলা খেলা চলছে। মানুষেরা সব ঘুমিয়ে আছে।
নিশাচর একা পথ হাটে পৃথিবীর পথে।পথ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়
নাইটগার্ডের বাঁশি ঝুলে থাকে কাঁধের পাশে, ঘুম কেড়ে নেয়
তার জাগ্রত প্রহর। এখন কে আর বলবে....
-কোনঠে বাহে জাগো সবাই, যেমন শুনেছিলাম একাত্তুরে।
অগ্নিঝরা মার্চের প্রতিধ্বনি ছাড়া কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯