somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনাবাহিনীর প্রতিশোধ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বরাবরই যেকোনো সামরিক শাসন-অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ হয়ে থাকে। বিক্ষোভ হয়। স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্রবিক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি স্বৈরশাসকেরও গদি ছিনিয়ে নেয়। শিক্ষকদের মুক্তির যে আবেদন আসছিল, তার প্রতি সরকারের এই হলো 'সম্মানপ্রদর্শন' ২জনকে মুক্তি। "শিক্ষকরা রাজনীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অধঃপাতে নিয়ে যাচ্ছে", এই ফালতু কথা দয়া করে কেউ বলবেন না।মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে যারা বলে বসেন, শিক্ষকরা ক্লাশ না করিয়ে খালি রাজনীতি করায়, গোপনে ষড়যন্ত্র করে- তাদের কথার গ্রহণযোগ্যতা এ রায়ে ভীষণ কম। কারণ প্রথমতঃ কোনো ম্যাসাকারে শিক্ষকরা ইন্ধন দেননি। কোনো গোপন শলাপরামর্শও তারা করেননি। অথচ রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শিক্ষকদের বিচার প্রকি্রয়া থেকে শুরু করে সব সময় শিক্ষক প্রসঙ্গ এলেই এই প্ররোচনা ও উস্কানির কথাটা উঠে আসে। তাহলে আদালতে যখন প্রমাণ হলো, তারা এই দু'য়ের কোনোটিই করেননি, এরপর নিশ্চয় এই অপবাদ থেকে অন্ততঃ তাদের রেহাই মিলবে। এবার আসুন মৌন মিছিলটির প্রসঙ্গে, যে মিছিলটিতে অংশ নেয়ার কারণে ৪ শিক্ষকের সাজা হলো। মিছিলটির উদ্দেশ্য ছিলো খুবই পরিষ্কার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ আগস্ট সংঘটিত ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের বহিপ্রকাশ। লক্ষ্য করুন আদালত তার রায়েই কিন্তু সুস্পষ্ট বলে দিচ্ছে, ওই দিন মৌনমিছিল হয়েছিলো। তার মানে মিছিলে কোনো জঙ্গী শ্লোগান তো ছিলোই না, মিছিল ছাড়া মিছিলকারী শিক্ষকদের অন্য কোনো নীলনকশাও (উস্কানি বা প্ররোচনা) ছিলো না। আদালত এই মিছিলটির জন্যও হয়তো সাজা দিতেন না। কিন্তু মিছিলটি হয়েছিলো জরুরি অবস্থার মধ্যে এবং আদালত মনে করেছে, এই মিছিলে অংশ নেয়ার কারণে ৪ শিক্ষক জরুরি বিধিমালা ভঙ্গ করেছেন। ব্যস, বিষয়টির ইতি টানা যায়। আইনের দৃষ্টিতে শিক্ষকরা কতোটুকু অপরাধ করেছেন, তা তো পরিষ্কারই। এবার আসুন নিজেরা নিজেদের প্রশ্ন করি, রাষ্ট্রীর আইনের মারপ‌্যাচ বাদে নৈতিকতার দিক থেকে তাদের অপরাধটি কি একেবারেই আকাশ ছোঁয়া সাইজের?
৩৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×