somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০০ তম পোস্ট: এক ফোঁটা শিশির নয়, বৃষ্টি চাই সাহায্যের

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল টিভির কোন এক চ্যানেলে সিডর আক্রান্তদের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবারহের খবর দেয়া হলো। বারবার রিপোর্টার বলার চেষ্টা করছিলো কোথাও ত্রাণের কোন ঘাটতি নেই, সবাই পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে। আর আজ প্রথম আলোয় দেখলাম ত্রাণের ও ত্রাণ সমবন্টনের দাবীতে মৌণ মিছিল ও মিছিলকারীদের গ্রফতারের খবর। অন্যের গোলামি করার কারনেই ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমি দূর্গত এলাকায় যেতে পারিনি। তবে যতটুকু জানি কোথাও কোথাও যথেষ্ট ত্রান পৌঁছালেও সেটাকে আমরা সমগ্র দূর্গত এলাকা চিত্র বলে ধরে নিতে পারি না।

জানি, সবকিছুরমত এ দূর্যোগের কথা মানুষ ভুলে যাবে। ভুলে যাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোর কথা। কিন্তু সিডর যে ক্ষত রেখে গেল জীবনে ও মনে সে ক্ষতি কি কখনো পূরণ হবে বা হওয়া সম্ভব? শুধু দুঃসপ্নে নয় বাস্তবে এর জের টেনে যেতে হবে ঐ মানুষদের আরও অনেকদিন, হয়তো সারা জীবন।

ভূমিকাটাই অনেক বড় হয়ে গেল। আসলে এত কথার পেছেনে আসল কথা হলো, খুব শীঘ্রই হয়তো এ মানুষদের সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। এখনই আমরা কোন এক সংগঠনের মাধ্যমে সাহায্য দিয়ে আরেকটা সংগঠনকে সাহায্য দিতে চাই না। যারা ত্রান সংগ্রহ করছে তাদের কাছে শুনেছি, সাহায্য চাইলে অনেকেই উদাস মুখে বলে 'আমি তো একবার দিয়ে দিয়েছি'। সুতরাং আমার এ আশংকার সংগত কারন আছে। আজ শুধু খাদ্য দিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষুধা মেটাচ্ছি। কিন্তু খুব শীঘ্রই ধেয়ে আসছে তীব্র শীত। ওদের ঘর নেই, নেই গরম কাপড়, নেই খাবার, চাল-চুলা, ছাত্রের বই-খাতাও ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পানির তোড়ে।

আজ একফোঁটা শিশির দিয়ে থেমে গেলে চলবে না। আমাদের বৃষ্টি ঝরাতে হবে। তাডের সাহায্যে আমাদের যেখানে যতটুকু সম্ভব অংশগ্রহন করা দরকার। আজ, কাল, পরশু, তারপর পর্যন্ত। এ মানুষদের ক্ষত না শুকানো পর্যন্ত আমাদেরই দায়িত্ব তাদেরকে যে সহায়তাটা আমরা দিচ্ছি তা চালিয়ে যাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩০
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×