somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন প্রজন্মের মিউজিশিয়ান নমন

২২ শে নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গিটারিস্ট হিসেবে মুসাফির ব্যান্ডে কাজ শুরু করলেও ইতিমধ্যে কম্পোজার হিসেবে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করে চলেছেন নমন। সম্প্রতি রিলিজ পাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্নধারার দুটি অ্যালবাম উৎসর্গ ও ধুম তা না’র শ্রোতাপ্রিয়তা এটাই প্রমাণ করে, সব ধরনের গানের প্রতিই শ্রোতাদের আগ্রহ রয়েছে। পরবর্তী অ্যালবামে নমন কাজ করছেন বাউল সম্রাট লালনের জনপ্রিয় ১১টি গান নিয়ে। সম্প্রতি যায়যায়দিন চে কাফেতে কথা হলো মিউজিশিয়ান নমনের সঙ্গে। ব্লগারদের সঙ্গে শেয়ার করলাম-

* পড়াশোনা করেছেন কমপিউটার সায়েন্সে, মিউজিকের প্রতি আকৃষ্ট হলেন কেন?

মিউজিকের প্রতি আগ্রহ আমার ছোট থেকেই। পরিবারের সবাই জড়িত ছিলেন মিউজিকের সঙ্গে। বাবা ও চাচা গিটার বাজাতেন। তাদের হাত ধরে ছোট থেকেই গিটারের কর্ড ধরে টুংটাং করতাম। তবে সুরের প্রতি আকৃষ্ট হই বেনসন অ্যান্ড হেজেসের মিউজিকাল কম্পিটিশন দেখে। আর কমপিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করার পেছনেও পরিবারের ইচ্ছাই ছিল মূল। এ জন্য মিউজিক ছেড়ে পুরোদস্তুর কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যাবো এমন কোনো কথা নেই। কারণ আমার দৃঢ় ধারণা ছিল, কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যে অবদান বা কাজ আমি করতে পারবো, মিউজিকের পেছনে সময় দিয়ে তার চেয়ে ভালো কাজ করা সম্ভব।

* ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হলেন কিভাবে?

আমি বড় হয়েছি খুলনায়। খুলনার সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে মিউজিক ও খুলনা সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য ঢাকায় চলে আসি। এখানে এসেই পরিচয় হয় ওয়ারফেজের মিজানের সঙ্গে। মিজান তখন সবে ওয়ারফেজ থেকে বেরিয়ে এসে মুসাফির ব্যান্ড গ্রুপটি গঠন করেছে। মুসাফির ব্যান্ডে আমি গিটারিস্ট হিসেবে জয়েন করি। মুসাফির থেকে বের হওয়া আল্লা রাখা অ্যালবামে কাজ করি। মুসাফিরের পর মেটালমেজ ব্যান্ডে যোগ দিই। এখানেও খুব বেশি সময় ছিলাম না। কারণ আমি চাচ্ছিলাম নিজস্ব কিছু প্রেজেন্ট করতে।

* অ্যালবামের কাজ কিভাবে শুরু করেন?
ব্যান্ডে কাজ করার ফাকে ফাকে বিভিন্ন স্টুডিওতে কাজ করি। এতে করে আমার বেশ ভালো এক্সপেরিয়েন্স হয়। গানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জি সিরিজের খালিদ ভাই আমাকে তাগাদা দিলেন এককভাবে কাজ করার জন্য। জি সিরিজ থেকে প্রার্থনা ও আধার অ্যালবামে কম্পোজার হিসেবে কাজ করি। অবশ্য এর আগেই আর বি সিরিজ থেকে বের হয়েছে আমার কম্পোজিশনে করা প্রবর্তন অ্যালবামটি। তবে ভিন্নধারার কাজ শুরু হয় সম্প্রতি রিলিজ পাওয়া উৎসর্গ ও ধুম তা না অ্যালবাম দুটি বাজারে আসার পর থেকে। স¤পূর্ণ ভিন্ন ক্যাটেগরির এ অ্যালবাম দুটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।

* পরবর্তী কি কাজ করছেন?

ভিন্নধারার কাজ করতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। আর তা ধরে রাখতেই পরে আমি বাউল সম্রাট লালনের ১১টি গান নিয়ে নয় দরজা নামে একটি অ্যালবামের কাজ করছি। অ্যালবামের সব গানই গেয়েছেন বিমল দাস বাউল।

* অ্যালবামে লালনের কোন গানগুলো রয়েছে?

এ অ্যালবামে থাকবে লালনের খাচার ভেতর অচিন পাখি, ইতরপনা, দাসের পানে, সহজ মানুষ, ধন্য ধন্য, জাত গেল কানাই যে, গোকূলে, গেয়ে গান, গৌরবের প্রেম ও রসের রসিক। রিয়াল এশিয়ান ফিউশনের ছাচ পাবেন শ্রোতারা এ অ্যালবামটিতে।

* নতুন যেসব মিউজিশিয়ান আত্মপ্রকাশ করছেন তাদের সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

নতুন মিউজিশিয়ান প্রথমেই যে ভুলটি করেন তা হলো তারা টাইপ ক্যাটেগরি নির্ধারণ করে সে ধারাতেই গাইতে শুরু করেন। অর্থ উপার্জনের শটকাট রাস্তা হিসেবে তারা মূলত এটি করেন। অথচ নিজস্বতা আগে সৃষ্টি করা উচিত।

* আর ব্যান্ড গ্রুপে যারা আত্মপ্রকাশ করছেন তাদের অবস্থা কি?

ব্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রথমেই আমি বলতে চাই, ব্যান্ড গ্রুপ গঠন নন-প্রফেশনাল হবে না। ব্যান্ডকে অবশ্যই প্রফেশন হিসেবে নিতে হবে। শখের বশে অনেকেই ব্যান্ড গঠন করেন। ধুমধাম কয়েকটি অ্যালবাম বের করে তারপর দেখা যায় সেই গ্রুপের হদিসই আর পাওয়া যাচ্ছে না। এটাকে স্রেফ মিউজিকের সঙ্গে প্রতারণ বলা চলে। প্রেম করে ধোকা দেয়া আর মিউজিকের সঙ্গে ধোকা দেয়া একই কথা। মিউজিকের প্রতি অবশ্যই কমিটমেন্ট থাকলেই কেবল ব্যান্ড গঠন করা উচিত।

* বর্তমানে অনেক শিল্পীই কোনো কম্পানি বা চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। এতে করে তারা অন্যত্র কাজ করতে পারছেন না। এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

প্রথম কথা হলো, একজন শিল্পীকে তার নিজের মতো করেই কাজ করতে দেয়া উচিত। শিল্পীকে কোনো কম্পানি বা চ্যানেলের আওতাভুক্ত করে ফেলা অর্থই হচ্ছে সেই শিল্পীর গন্ডিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা। এতে করে শিল্পীর সৃজনশীলতা অনেক সময়ই বাধাগ্রস্ত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩৮
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×