যারা সবসময় সম্মুক্ষগামী , অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করা যাদের কাছে বিরক্তির কালক্ষেপন কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয় সেই জামাতীরা কিন্তু আবার ইতিহাস ঘাটাঘাটি শুরু করছে । জামাতী এইসব ধর্মব্যবসায়ী কাপুরুষের দল মুসলিম সমাজের তেরটা বাজায়ে দিল । যারা ইতিহাস ঘাটাকে পশ্চাদমুখীতা মনে করে তারাই তিতুমীরের বীরের ইতিহাস নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত । কেন ?? তিতুমীর নামটা মুসলিম , তিনি মুসলিম ছিলেন বলে ?? নাকি মুসলমান হলেই তারা জামাতের রেজিস্ট্রি প্রোডাক্ট হয়ে যায় ??
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা সবসময় পালন করেছে বাঙালিরা যদিও শেষ অবধি বাঙালিদের ভাগ্যে কলা জুটেছিল । তার কারণও স্বাভাবিক ভাবে বাঙালিদের সচেতনতা আর ব্রিটিশদের সবচেয়ে বড় বিরোধী ছিল বাঙালিরা । বাঙালিরা যা আজকে ভাবত গোটা ভারত নাকি তা ১০০ বছর পরে ভাবত । তাই সবচেয়ে বেশী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বাঙালিরা । ক্ষুদিরাম ,প্রীতিলতা , সূর্যসেন, তীতুমীর কিংবা ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহে বাঙালিরা নেতৃত্ব দিয়েছে ।
হয়তো যে জন্য বঙ্গভঙ্গ । বাঙালিরা এক থাকুক সেটা ব্রিটিশরা চায়নি ।ব্রিটিশরা সফলভাবে একটি বিষয় প্রথিত করে যেতে পেরেছিল এই উপমহাদেশে , তাহলো দ্বিজাতিতত্ত্ব । যা একুশ শতকে এসেও বেশ কার্যকর । জামাতীরা বা তাদের আব্বাহুজুর মওদুদী ব্রিটিশদের পা-চাটা নেলি কুত্তা ছিল । তাদের দ্বিজাতিতত্ত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মওদুদীবাদীরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা শুরু করে । এই জামাতীরাসবসময় ক্ষমতার আসেপাশে তৈল মর্দনে অভ্যস্ত । তারা ব্রিটিশদের তেল মর্দণ থেকে শুরু করে পাকিস্থানী মাথামোটা হাটুবাহিনী থেকে আমাদের দেশপ্রেমিকদের একবারে খাস চামচা । এভাবে এই জামাতীদের সৃষ্টি । সৃষ্টির আদি কাল থেকেই তারা এমন মিলিশিয়া বাহিনীর মতন সামরিক বাহিনীর পোষা কুকুরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ।
মুসলমানদের গর্বের ইতিহাস জামাতীদের নয় । জামাতীদের ইতিহাস দাসত্বের , জামাতীদের ইতিহাস চামচামীর ।