তাহলে অ-প্রকৃত বা ভেজাল যুদ্ধাপরাধীও আছে তাহলে?
এই বিষয়ে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। শেয়ার করা যাক।
পল্লী কবি জসীমউদ্দিন একটা ফকলোর সন্মেলনের লন্ডন গেছেন।
এই সময় এক রেস্টুরেন্টের খেতে গিয়ে মনে হলো বহুদিন দুধ খাওয়া হয়নি। উনি ওয়েটারকে ডেকে বললেন - আমাকে এক গ্লাস খাঁটি দুধ দাও।
বেচারা ওয়েটার - কোথাও খুঁজে খাঁটি দুধ (পিউর মিল্ক) পাচ্ছে না।
সে ম্যানেজারের সাথে আলাপের পর সিদ্ধান্ত নিলো কাস্টমারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে।
যখন ম্যানেজার এসে বললো - স্যরি, স্যার। আমরা পিওর মিল্ক রাখি না।
জসিমউদ্দিন অবাক হয়ে বললো - ঠিক আছে, জুসই দাও।
পরে হোটেলে এসে এই কথা বলার পর অন্যরা উনাকে বুঝালো - এখানে দুধ এক রকমেরই। যেহেতু পানি মিশায় না ( আধুনা ফর্মালিন) - সুতরাং সব দুধই খাঁটি।
তাই আলাদা করে "পিওর মিল্ক" এরা চেনে না।
---
যুদ্ধাপরাধী হিসাবে যারা চিহ্নিত - তাদের মধ্যে কোন ভেজাল আছে কি?
এমনিতেই কেহ যুদ্ধাপরাদী হতে রাজী হবে বলে মনে হচ্ছে না - সেখানে কোন ভুয়া যুদ্ধাপরাধী দাবীদার পাওয়া কি সম্ভব?
----
দয়া করে অতি বিপ্লবী বাক্যালাপ পরিহার করুন।
যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে ভেজাল মিশানোর চেষ্টা বাদ দিন।
বিভ্রান্তিকর আলাপ পরিহার করুন।
জোরালো কন্ঠে বলুন -
"৭১ এর যুদ্ধাপরাধী-ঘাতক-দালালদের বিচার চাই"
আদালতই ঠিক করবে কে আসল আর কে নকল। আর রাষ্ট্রই বাদী হবে। নতুবা এই বিচার হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:২১