somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনের কথা মনের ... (২)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
ভালোবাসা থাকা ভালো।অতি ভালোবাসা ভালো নয়। অতি বক্তি
চোরের লক্ষণ। যারা বেশী ভালোবাসা ভালোবাসা করে মুখে,
তাদের অন্তরে সমস্যা আছে! আবেগী হওয়া ভালো সাহিত্য
রচনায় হয়তো, তবে ইতিহাস লেখার সময় নয়। আর বিচারকের আবেগ থাকা মহা পাপ। সংযমে মানুষের সৌন্দর্য বাড়ে হয়তো চামড়ার নয় ভিতরের। আর ভিতরের অংশই মানুষের পরিচয় প্রকাশ করে। হাত পা চোখ কান নাক আঙুল লিংগ হইতে সব কিছুই অন্য প্রাণীদের আছে ,মানুষের থেকে কম নাই তাদের। ধর্ম-ই মানুষ কে মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়েছে। শয়তান বহুরুপি সে যে কোন রুপেই সত্যে ধ্বংস করার জন্য সর্বদা জাগ্রত। আর বাতাস ছাড়া যে গাছ নড়ে না তা কিন্তু নয়! আবার বেশী নাড়াতে গেলে যে গাছের মূলে নষ্ট রোগে ধরে সেটা ও যেন মাথার মধ্যে থাকে। এই পৃথিবীতে রাজনীতি না থাকলে মনে হয় মানুষ আরো উন্নত হইতো! শয়তান না থাকলে রাজনীতি বলে মনে হয় কিছুই থাকতো না!পরীক্ষার জন্য। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষণই পরীক্ষার ...। যারা ধর্ম বিশ্বাসী শুধু তাদের জন্য এই পরীক্ষা ? না। শয়তানের পরীক্ষা কিন্তু হয়েছে! যে কানা না সে দেখেছে, আর যার কানের মধ্যে তুলা ছিলো না সে কিন্তু শুনেছে।


২.
গত কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের প্রধান আলোচনার বিষয় হইলো
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আমি মন প্রান থেকে চাই সে সব
শয়তানদের বিচার। স্বাধীনতার ৩৬ বছর পরে আজ এই বিষয়ে কথা বলা ও আমাদের জন্য গ্লানি কর। কেন আমরা
পারলাম না তাদের বিচার করতে? সেখানে ও রাজনীতি ছিলো
হয়তো দেশীয় রাজনীতির সীমানার বাহিরের রাজনীতি। তবে তা
কত কাল পর্যন্ত ছিলো সেটা ও একটা প্রশ্ন(?)। তবে আজকে
যে বিচার দাবী পথ গাটে তার মধ্যে কি রাজনীতি আছে? না।
জোয়ারের সাথে গা ভাসাইতেছে কিছু বর্ণ চোরা শয়তান । তারা
শুধু ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করে দেশের জন্য না। মুখে যা বলে তা মাতা পিতার ইতিহাস তাদের নিজেদের কিছুই নাই!
তবে কিছু সুযোগ সন্ধানী চোর কিন্তু আড়ালে আম চুরির জন্য
ময়দান ফাঁকা করার ধান্দায় আছে! কোন পক্ষ? বিনা বাতাসে ও যে গাছ নড়ে তা জীবনে অনেক বার দেখেছি! আর প্রত্যক বারই আমরা হারিয়েছি যা কিছু অবশিষ্ট ছিলো তা, তবে এবার আর হারাতে চাই না। দেশের জন্য।

৩.
আমাদের রাজনীতিবিদ এবং দলীয় বুদ্ধির ঢেকিরা কি চায় স্বাধীনতার পরে কিছুই বুঝলাম না! না কি আমাদের বুদ্ধি জীবিরা এক ধরনের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি? তাদের দাবীর নমুনা দেখে আমি কিছুটা আকাশ থেকে পড়া মানুষের মতো! কারন এই কিছু দিন আগে তারা বলে ছিলো এই সরকারে এইটা করা উচিত না! ঐটা তারা করতে পারে না। তা শুধু নির্বাচিত সরকারে করতে পারে। তাই আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার কি এই সরকার করতে পারে? পারে।
তবে তাদের স্বার্থের বিপরীতে হইলে না! কেউ কিছু বুঝে না।
নানার হাত দিয়ে শয়তানের লাঠি ভাঙার ধান্দায় আছে?নিজেরা করবে ও না ! কারন ঐ হাত দিয়ে তখন ক্ষমতার যোগ ভাগ বিয়োগ গুনের কাম সারবে কি করে। আজকে একটা প্রশ্ন সবার কাছে রাখা হোক যে আগামীতে যারা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসবে তারা অবশিষ্ট সকল যুদ্ধ অপরাধীর, জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার এবং স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত গুলো রাজনীতিক হত্যা হয়েছে সব হত্যার বিচার করবে। দেখি তারা কি বলে আর কি করে...।সে অপেক্ষায় থাকবো...

আবার কিছু অতি সুযোগ সন্ধানীর কাজ কারবার দেখলে মনে
হয় বিচার চাইতেছে না সমস্যা তৈরির মিশন নিয়ে ময়দানে
নেমেছে। ভাবতে হবে সব কিছু কি এই সরকারের পক্ষে করা
সম্ভব? তাদের দাবীর কোন শেষ নেই! যে রকম কাহিনী ১/১১
আগে ও ছিলো, হয়তো একই রকমের ইস্যু না তবে চিন্তা করে
দাবী জানাতে হবে। কতটুকু ভার বহিবার শক্তি আছে এই সরকারের , মাথায় তুলে দিলে তো হবে না! তা নিয়ে চলার ক্ষমতা এবং সময় তাদের আছে কি না দেখতে হবে। আর বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান কাজ কি? আমরা এক সাথে অতি ভার দিয়ে বর্তমান হারাইতে চাই না। অন্য বিষয় গুলো যেন
আড়ালে না যায়। ৩৬ বছরের অনিয়মের বিচার ২ বছরে কি সম্ভব? বাংলাদেশের সবাই(রাজাকার গোষ্টি বাদে) যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চায়, কিন্তু তার মধ্যে অন্য বিষয় গুলিয়ে যুদ্ধ অপরাধের বিচারের বিষয় কে হাল্কা করা ছাড়া আমি কিছু দেখতে পাই না! যেমন :-ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিযয়টি আগামী সংসদের জন্য রেখে দিলে কি বেশী সমস্যা হবে? তা
তো হওয়ার কথা নয়! কারন ৩৬ বছরের ইতিহাস তো বলে না!
নিজেরা কিছু অর্জন করতে শেখো। না হলে ভবিষত্তে জাতীরে
তোমরা কি দিবা যদি আগামী দিন গুলিতে কিছু করতে না পারো। শুধু দাবী করলে তো সব কিছু পাওয়া যায় না! তাই অহেতুক দাবীর বন্যায় দেশ ভাসাইলে আসল(যুদ্ধ অপরাধের বিচার) হারাইয়া যাবে ...। তাই আবাল গরুর মতো হাম্বা হাম্বা যত কম করা যাবে আর ছাবালের মতো তেম্বা তেম্বা যত কম করা যাবে ততটুকু ভালো হবে দেশের শরীরের জন্য।না হলে অন্য কোন অদৃশ্য হাত ক্ষমতার মুকুটে হাত দিবে। মানুষ নিয়ে রাষ্ট , মানুষ ছাড়া রাষ্ট হয় না। আবার মানুষের ভিতরের রুপ পরিবর্তনের সাথে রাষ্টের রুপ ও পরিবর্তন হয় বা হইতে পারে।
যারা এই রুপের পরিবর্তন মানতে চায় না, তাদের উচিত মানুষ
জয় করা আর্দশ দিয়ে, নতুন পেপার বুক তৈরি করা নয়! তাতে কোন লাভ হবে না! সময়ে আবার সে ফিরে আসবে, যে ছিলো "র" সে হবে তখন "ব" । হাঁ রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধিদের উপর তীব্র ঘৃণা এবং ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক তবে তা যেন কোন ভাবেই ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত না করে। যদি করে তাহলে সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। আমাদের এই উপমহাদেশের কাহিনী তো সবাই জানে। আজকের বাংলাদেশ ও সে সূত্রের সৃষ্টি। হয়তো অনেকই অস্বীকার করবেন। তবে সত্য সত্যই। ৪৭- এর ক্ষমতা লোভী মানুষ গুলো মরে ও বার
বার কিভাবে অন্য মানুষের দেহে ভর করে ফিরে আসে?! যারা
ধর্ম কে পুঁজি করে মানুষ কে পশু পাখির মতো শিকার করেছে।
ভাবতে পারি না! তবে আমার মনে হয় এখানে ধর্মবাদীদের দোষ ছিলো না! যতটুকু ছিলো ক্ষমতার রাজনীতিক ব্যবসায়ীদের। কি হিংসার বীজ বুনেছে সে ৪৭...। আবার
অতি নিরামিষ সন্ন্যাসীরা ধর্ম দেখলে যায় যায় করে এমন সন্ন্যাসী বঙদেশের বা যে কোন দেশের জন্য ভালো নয়! তারা কি তারা নিজেরা ও জানে না! তারা আবার অধিকারে কথা আউলাইতে আউলাইতে ধর্মা অধিকারের কথা ভুলে যায়! সে সব
পাগলদের থেকে দূরে থাকা শুধু নিজের শরীর জন্য না! সমাজের শরীরের জন্য ও ভালো। ধর্মভিত্তিক বা অন্য যে কোন
ভিত্তির রাজনীতিক দল বা মত নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা কারোরই
নাই। শুধু আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী শয়তানদের দল ছাড়া।

সে ৪৭ যদি না হইতো কি হইতো? স্বর্গ না তবে এমন হইতো না হয়তো আজ যেমন পাকিস্তান বাংলাদেশ।
মহাত্মা গান্ধীজীর স্বপ্ন বেঁচে আছে! বেঁচে নেই আর্দশ! হিংসার
হিংস্রতায় ডুবে গেছে আমাদের মানবিকতা বোধ। প্রথমে আমরা
মানুষ ...তারপরে অন্য কিছু। মানুষ .........
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:০০
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×