সাবেক ইসলামী ছাত্র সংঘ (আধুনা ইসলামী ছাত্র শিবির) নেতা মিছবাহুর রহমান বলছেন - " জামায়াত ইসলামীতে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও কাদের মোল্লাসহ ৪০ থেকে ৫০ জন যুদ্ধাপরাধী রয়েছেন।"
সাবেক সহকর্মী হিসেবে এদের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত আছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের এই শিবির নেতা "একাত্তর সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মী হিসেবে তিনি নিজামী, মুজাহিদ ও কাদের মোল্লাসহ বর্তমান জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। "
তিনি বলেন, "ওই তিনজন ছাড়াও জামায়াতের বর্তমান নেতাদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন যুদ্ধাপরাধী আছেন যারা একাত্তর সালে ইসলামী ছাত্র সংঘ থেকে বদর বাহিনীতে যোগ দেয়। ওই বাহিনীতে যোগ দিয়ে তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড শুরু করে।"
মিছবাহুর আরো বলেন, "জামায়াত থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বাদ দেওয়া না হলে দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত।"
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি তখন ইসলামী ছাত্র সংঘে ছিলাম। তারা (নিজামী, মুজাহিদ ও কাদের মোল্লা) যখন বদর বাহিনীতে যোগ দেয় তখন আমি ইংল্যান্ডে চলে যাই। তারা যে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তা আমি জানি এবং এ বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত আছি।"
জামাতের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ যারা লুকাতে চান - তাদের জন্যে এই সাবেক নেতার কথাগুলো গুরুত্বের সাথে গ্রহন করা উচিত।
কারন - বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়টি সুরাহা হবে। আর যারা ধর্মকে আড়াল করে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে - তারা শুধু নিজেরাই বিলীন হয়ে যাবে না - সাথে সাথে ধর্মের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে।
ইসলাম ধর্মের সকল অনুসারীদের উচিত জামাতের সংশ্রব পরিত্যাগ করা। কারন জামাত কোন ধর্মীয় সংগঠন না। এটা একটা সুবিধাবাদী, শক্তির পদলেহী এবং ৭১ এর ঘাতক-দালালদের দ্বারা পরিচালিত ইসলামের মুখোশধারী একটি দল।