somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতি ও বাংলাদশ (রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধা আন্দোলন) অতীত-বর্তমান বিশ্লেষনের চেষ্টা

০১ লা নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

( এ লেখার কোন অংশই সে সমস্ত মহান যোদ্ধাদের অপমানের বা ছোট করার কোন মতলবে নয় যারা প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন), সুবিধা বাদী শ্রেনীর তরে যারা এটাকে পুঁজি করে দেশকে একটি জটিলতার মধ্যে ফেলে দিতে চান।
জামায়াত ইসলামী, বাংলাদেশের সমর্থনে এ লেখা নয় ( শুধুই পরিস্থিতির বিশ্লেষন) যারা খারাপ, তারা খারাপই। তারা ইসলামী হোক কিংবা ধর্মের নিরপেক্ষতার কিংবা হোক না সে নাস্তিকতার ।
স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রতি কোন ধরনের হিনতা নয় শুধুই নিরপেক্ষ দৃষ্টি রাখার চেষ্টা, যদি কোন কারনে এ দৃষ্টি একটু বেশি মন্দতার মাত্রায় ঘি ঢালার মত মনে হয় তবে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। এটা শুধুই আমার নিজের মতামত অন্য কারও নয়।
নিরপেক্ষতার বিচারে
সে সময়কার প্রেক্ষাপট (বিশ্লেষনের চেষ্টা)
হ্যাঁ আওয়ামিলীগের নেতৃত্বে যে যুদ্ধ ছিল কিংবা জাসদ-পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্টের সংগ্রামে যে যুদ্ধ ছিল তা ছিল এক শাসন থেকে মুক্তিনিয়ে নিজেদের আলাদা মানচিত্রের প্রতিষ্ঠা কিন্তু দেখুন সম্পূর্ন আলাদা হওয়ার কথাও কিন্তু তখন ভাবা হয়নি (৭১ সালের পূর্বে) কারন ৬৯ এর নির্বাচন কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচন ছিল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্বাচন নয়। এটা সত্য যে ৭১ সালের সংগ্রাম ছিল যুদ্ধের।
জামায়াত ইসলাম ( যেহেতু তাদের ভাষায় একটি ইসলামি দল আর আওয়ামিলীগ, মুসলিম লীগ হতে ধর্ম নিরপেক্ষতার কারনে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি দল। সেহেতু তারা (জামায়াত ইসলামী) ভাবতেই পারে আওয়ামি লগি একটি অ-ইসলামী দল) আর স্বাধীনতার ইন্ধনে যেহেতু জয় হিন্দ আর জয় বাংলা শ্লোগানে অনেক মিল ছিল তাদের দ্বারা এটা ভাবা স্বাভাবিক যে, এটি ভারত সরকারের একটি চক্রান্ত এবং এটাকে রুখতে হবে (বর্তমান ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে ঘটনা প্রবাহ পরীক্ষা করলে দেখা যায়), তাই যদি কোন এরকম ঘটনা অবতারনা হয়ে থাকে (যদিও আমি নিশ্চিত নই)। তবে তা গৃহ-যুদ্ধ-জড়িত একটি দেশের ইতিহাস পর্যবেক্ষক দলের হিসেব-নিকেশ করা উচিত। হ্যাঁ দুই দৃষ্টি কোনে ঘটনা সবসময় দুই ভাবে সংজ্ঞা বহন করে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেলেই অনেক ধারনায় সু-সংজ্ঞার বাতাস লাগতে শুরু করে, দুই দৃষ্টি একসাথে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করতে পারে।

এবার বর্তমান প্রেক্ষাপট (বিশ্লেষনের চেষ্টা)
বর্তমান সরকার (তত্ত্ববধায়ক সরকার) দেশের জন্য খুব খারাপ কাজ করছেন না যদিও, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক স্বার্থবাদী মহল এ সরকারের বিরোধীতা করছে, তবে কি ভেবে নেবে তারা সরকারের শাসনের বিরোধীতা করে, দেশের আইনের প্রতি অবজ্ঞা করে রাজাকার গিরি করছেন না। বর্তমান রাজনীতির যে ধারা তাতে দেশের প্রতি মায়া-মমতার আর ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ দেখে তো জামায়াত কেই বেশি পবিত্র মনে হয়। কারন আপনারা(রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমর্থকরা) তারাই তো খাই খাই পার্টির সদস্য (দেশপ্রেম, আর যুদ্ধ ইতিহাস, পিতা হারা, স্বামী হারা বলে বলে দেশের সমস্ত অধ্যায়ে ভাইরাস প্রবেশ করিয়েছেন, ধ্বংসের দারপ্রান্তে এনেদিয়েছেন দেশকে। বিনিময়ে আপনারা দেখুন জামায়াত ইসলামীর নামে রাজাকার ছাড়া আর কিইবা দোষারোপ আছে। (আমি বলছি না যে তারা পবিত্র, দোষহীন কিন্তু তুলনামুলক ভাবে দূর্নীতির চিত্রে)। ধরেন যদি কোন কারনে এই বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় টিকে গেলো এবং দেশের সার্বিক উন্নতিতে বড় অবদান রাখল, তাহলে ঘটনা কি হবে আজ থেকে দশ-পনের বছরের পরের জাতি, (আওয়ামি, বিএনপি, জামায়াত, জাতিয়পার্টি) আপনাদের তো রাজাকার বলবে। তখন তো তারা আপনাদের দেশদ্রোহীতার মামলা করবে। বিচারের দাবী তুলবে।

ইসলাম ওমর (র) কে ক্ষমা করার পর যদিও তিনি ইসলাম প্রাথমিক যুগে ইসলাম বিরোধী ছিলেন (বর্তমানে দেশ বিরোধী, যুদ্ধ বিরোধী) পরবর্তীতে তিনিই ইসলামের বড় হেফাজত কারী রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং ইসলামে কোন এমন লোক নেই যারা বেইমান রুপে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীন পরবর্তীতে এরকম বহু কলংকিত ইতিহাস আছে যাতে সেরকম নামি-দামি মুক্তিযোদ্ধারাও লুটতারাজ আর খুন জাতিয় ঘটনার সাথে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে ছিলেন । তো যুদ্ধ পরবর্তী যারা যুদ্ধের মহান ইতিহাসকে কলংকিত করেছিলেন তারা কোন শ্রেনীর দেশপ্রেমিক ছিলেন তা আজও গবেষনার বিষয়।
বর্তামােন যারা আওয়ামিলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য তাদের কতজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তারা অনেকে তো সে সময় কলকাতার আশ্রয় শিবিরে নরম তক্তাপোষে বিছানা গরম করছিলেন। তাহলে...............। হ্যাঁ জামায়াত ইসলামী তষনকার সদস্যরাও দেশের পক্ষে অস্ত্র ধরেননি, কিন্তু ২৬ মার্চের পর অত্যন্ত ধরা উচিত ছিল, কিন্তু একটা স্বাধীন দেশের সরকার যখন গরম গরম পরিস্থিতিতে কিছু করতে পারেনি, কিংবা করেনি তো আজ এত বছর পর আপনারা কি করতে চাচ্ছেন, যা কোন যুদ্ধের ইতিহাসকে সমর্থন করেনা।

জামায়াত ইসলাম, ইসলাম নয় (নিশ্চিত হওয়ার আগে, ইসলাম ও জামায়াত ইসলাম সর্ম্পকে বিশদ গবেষনা করতে হবে)
জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর সদস্য কর্মী কিংবা শুভাকাংক্ষী সব রাজাকার। জামায়াতী ইসলামীর সব সদস্য -কর্মী কিংবা সমর্থকদের বিচার হওয়া উচিত।
এ শ্লোগানের বিপক্ষে এখন আমার প্রশ্ন হলো- যে সমস্ত ব্যক্তি স্বাধীন পরবর্তি বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করে এ উল্লেখিত দলের সদস্য কিংবা কর্মী তারা কিভাবে যুদ্ধপোরাধী হলো। আর আমার জানামতে অনোক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও এ দলের সদস্য। তাহলে...............।
আবার আওয়ামি কিংবা বিএনপি অথবা জাপা দলের অনেক যোদ্ধা যারা তৎকালীন দেশের বাহিরে কিংবা সক্্িরয় যুদ্ধে অংশগ্রহন করেননি , যাদের বয়স আজ মাত্র ৪০ কিংবা ৪১ তারা কিভাবে (দেশের কৃতি সন্তান হলেন।)

৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×