ফতোয়া ১০ - প্রসঙ্গ : সাহাবীদের ব্যক্তিগত নোসখা বা কপি
এরপর রয়েছে 'ওয়া সালাতিল আছরে'। এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যে, কোরআনের যে নোসখা হযরত আয়শা (রা.), হযরত উম্মে সালমা (রা.) এবং হযরত হাফসা (রা.)-এর কাছে ছিলো সেখানে আয়াতটি 'ওয়া সালাতিল আছরে' অংশটিও অন্তর্ভুক্ত ছিলো। অথচ আমাদের সকলের কাছে কোরআনের যেসব নোসখা রয়েছে এসকল নোসখায় আয়াতটির উল্লেখিত অংশ নেই। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
উত্তর : কোনো কোনো সাহাবার কাছে কোরআনের ব্যক্তিগত কপি সংরক্ষিত ছিলো। সেসব কপিতে তারা তাফসীর, ব্যাখ্যা বা টীকা হিসেবে কিছু ফুটনোট লিখে রাখতেন। ব্যাখ্যামূলক এসব কথা অবশ্যই কোরআনের মূল অংশ ছিলো না, বরং সেসব কথা ছিলো টীকা টিপ্পনী। উল্লেখিত আয়াতেও 'ওয়াছালাতিল আছরে' শব্দ দুটি সেই রকমের টীকা টিপ্পনী। এই শব্দ দুটি কোরআনের অংশ নয়। রসূল (স.) বিভিন্ন হাদীসে 'ছালাতুল উছতা' কথাটির ব্যাখ্যায় আছরের নামায বলেছেন।
সাহাবায়ে কেরামের সময় থেকেই আলেম এবং ফকীহদের মধ্যে এই বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে যে, 'ওয়া সালাতিল উছতা' দ্বারা আসলে কোন নামায বোঝানো হয়েছে? ফজর, যোহর নাকি আছর? সহীহ হাদীস অনুযায়ী এখানে আছরের নামায বোঝানো হয়েছে। খুব সম্ভব হযরত আয়শা (রা.) তার ব্যক্তিগত কপিতে 'ওয়া সালাতিল উছতা'র ব্যাখ্যায় 'ওয়া সালাতিল আছরি' কথাটি লিখেছেন। সেই যুগে মূল বাণীর ব্যাখ্যা, টীকা-টিপ্পনী আলাদাভাবে লেখার রেওয়াজ ছিলো না। বর্তমানে এ নিয়ম লক্ষ্য করা যায়। অনেকে এক্ষেত্রে আলাদা রংয়ের কালি ব্যবহার করেন।
কোরআনের যে কপি বর্তমানে আমাদের ঘরে ঘরে রয়েছে এই কপিকে 'নোসখায়ে ওসমানী'ও বলা হয়ে থাকে। এই কপি তৈরীর সময় হযরত ওসমান (রা.) সকল প্রকার টীকা-ভাষ্য বাদ দিয়েছিলেন। তিনি কোরআনকে সেই রূপে লিপিবদ্ধ করেছিলেন, যেভাবে হযরত জিবরাঈল (আ.) রসূল (স.)-এর কাছে নিয়ে এসেছিলেন। হযরত ওসমানের কপি করার এই রীতি সম্পর্কে সকল সাহাবা এবং সকল ইমাম ঐক্যমত পোষণ করেন।
ব্যাখ্যা বা টীকা-টিপ্পনীস্বরূপ উল্লেখ করার অন্যান্য উদাহরণও পাওয়া যায়। যেমন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর ব্যক্তিগত নোসখা বা কপিতে 'ফাছিয়ামু ছালাছাতু আইয়ামিন মোতাতাবেয়াত' উল্লেখ রয়েছে। এখানে শেষোক্ত শব্দটি অতিরিক্ত। এই সংযুক্তি তিনি ব্যাখ্যাস্বরূপ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কারণ রসূল (স.)-এর কাছে তিনি ঐ রোযা সম্পর্কে এ রকম শুনেছিলেন যে, তা পর্যায়ক্রমে রাখতে হবে।
*** জবাব দিয়েছেন শায়খ ইউসুফ আল কারদাওয়ী ***
*** অনুবাদ করেছেনঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ ***
মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন