বছর ঘুরতেই নতুন ভবনটি
নিদারুন সুন্দরতায় প্রস্তুত
গায়ে মাখতে থাকে নানা রঙ
নানা বর্ণের আলোকে সেজে
হয়ে উঠে স্বপ্নের অমরাবতী।
তখনও আমি ছোট্ট সেই খুপচি ঘরে
মেঝেতে শুয়ে শুয়ে কেবল
নানামুখী স্বপ্নের জাল বুনি।
জাগতিক নিঃস্তব্ধতা ভেঙ্গে একে একে
জেগে উঠে নাগরিক মানুষগুলো
কলকাকলিতে ভরে উঠে নতুন ভবনটি।
আমি কেবল চেয়ে দেখি
কারণ চেয়ে দেখা আর স্বপ্ন দেখা ছাড়া
আর কিছুই পারি না এই আমি
বাহারী রঙের আলোকে, ঝাড়বাতিতে
তথাকথিত পার্টির বিস্তর আয়োজনে
রূপসীদের নিরন্তর আনাগোনায
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে শুনি
ওয়েস্টার্ন মিউজিকের কড়া তাল।
নাগরিক হতে থাকা মন কেবল
গ্রাম্যতা খুঁজে ফিরে ।
ভেসে উঠে সেই নারী শ্রমিকটির মুখ
হয়তো বেচারি নতুন কোন ভবন
তৈরীর ইট যোগাচ্ছে, এগিয়ে দিচ্ছে মশলা
ছেড়া অবিন্যস্ত কাপড় এখনো হয়তো
তার পুড়ে যাওয়া তামাটে শরীরে
ছোট্ট ঘরের মেঝেতে শুয়ে শুয়ে
দেখি দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়া
ঝড়বৃষ্টিতে চুয়ে পড়া পানি
তারপর মিলাতে যাই স্বপ্নের গানিতিক হিসাব।
পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাস্তবতার জ্যামিতিকতা
স্বপ্নের পান্ডুলিপি আর সেই শ্রমিকটির মুখ
একই সাথে সামনে এসে
উস্কে দেয় সুপ্ত মানবিকতাকে।