কিছুক্ষণ পর বের হয়ে এসে আগের অফিসারটির কাছে গেলো আমাকে নিয়ে। এরপর শুরু হলো জেরা। মালয়েশিয়ায় কি করি, কোথায় পড়ি, কোন্ সাবজেক্ট, কত বছরের? সিঙ্গাপুরে প্রথম যাচ্ছি নাকি, কোথায় থাকবো, আমার কোন সঙ্গী আছে কিনা, কোন মেয়ে বন্ধু আছে কিনা, কতদিন থাকবো ইত্যাদি। এরপর কিছু সদুপোদেশ দিলো। ওখানে যেয়ে লিটল ইন্ডিয়াতে অনেক হোটেল আছে, সেখানে উঠবে, কোন মেয়ে বন্ধু নিবে না। শুধু সপিং করবে আর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবে। তাদের কথামত কাজ করবো বলে ওখান থেকে প্রায় ২০ মিনিট পর ছাড়া পেলাম। বাইরে এসে দেখি শুধু আমার জন্য ট্রেন তখনো দাড়িয়ে আছে। অবশেষে আমাকে নিয়ে ট্রেন সিঙ্গাপুর ষ্টেশনে পৌছুলো বিকাল ৪.০০টায়।
সেখান থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা মোস্তফা সেন্টারে আসলাম। আশেপাশের কয়েকটা হোটেল ঘুরে কোন রুম খালি পেলাম না। অবশেষে একটি হোটেলের ডরমিটরিতে গিয়ে উঠলাম ২৫ ডলারে। ফ্রেশ হয়ে নীচে নেমে একটি মুসলিম হোটেলে লাঞ্চ করে রুমে ফিরে একটি ঘুম দিই। সন্ধ্যা ৭.৩০টার দিকে বের হয়ে বিখ্যাত মোস্তফা সেন্টারে গেলাম। এমন কোন জিনিস নেই যা সেখানে পাওয়া যায় না। জুয়েলারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস জিনিস (মোবাইল, ক্যামেরা, টিভি ইত্যাদি), ক্রোকারিজ, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট, বিস্কুট, চকোলেট, বিভিন্ন ধরনের খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (চাল, ডাল, আটা, চিনি, ঘি, ব্রাশ-পেষ্ট, সাবান ইত্যাদি) সবকিছুই আপনি এখানে পাবেন। ও আর একটা কথা, এটি দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। কখনোই বন্ধ হয় না। রাত ১০.০০টা পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে কিছু ছবি তুলে ডিনার করে রাত ১১.০০টায় হোঠেলে ফিরে আসি।
ছবি: ১নং ছবি ট্রেনের ভিতরে।
২নং ছবি মালয়ে: ও সিঙ্গা: ইমিগ্রেশনের মাঝে নদীর।
৩নং ছবি সিঙ্গাপুর রেলষ্টেশনে।
৪নং ও ৫নং ছবি ২টি মসজিদের।
৬নং ছবি মুস্তাফা সেন্টারের সামনে।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:১৩