somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃষি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি

২৪ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্ষুধা মানুষের চিরায়ত চাহিদা। তাই খাদ্য উত্পাদনে মানুষ নতুন নতুন পরিকপ্লনা নিচ্ছে। কৃষিভিত্তিক কর্মকান্ডের ওপর চলছে নানা গবেষণা। খাদ্য উত্পাদনে মানুষ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তবুও বিশ্বের অনগ্রসর দেশগুলোতে আজও খাদ্যাভাব তীব্রভাবে রয়েছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা এখন প্রায় ৬শ কোটি ৩০ লাখের বেশি। বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি। সে তুলনায় জমি বাড়েনি এক ইঞ্চিও। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। এদেশের আবাদি জমির পরিমাণ ২ কোটি ১লাখ ৫৭ হাজার একর। একজন কৃষকের আবাদযোগ্য জমি রয়েছে ১.৫০একর। যার বিপরীতে রয়েছে ক্রমবর্ধমান বিপুল জনসংখ্যার চাপ। পরিণতিতে বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ও খাদ্যাভাব সংকটজনক অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে। একারণে বর্তমানে আমাদের খাদ্য ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা পূরণ বর্তমান কৃষিক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষিকাজ এখন কৃষিবাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগ করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু ফসল উত্পাদনে সফলতা আসছে না। কারণ সফল ফসল উত্পাদন নির্ভর করে আধুনিক চাষাবাদের উপর। তা সম্ভব হয় উত্পাদন সংক্রান্ত দক্ষÿ, দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে । আর এজন্য ব্যাপক পরিমাণ তথ্যের সুবিন্যস্ত¯Í সংরক্ষণ প্রয়োজন। মাটির বৈশিষ্ট্য, ফসলের বৈশিষ্ট্য,আবাদ উপযোগিতা, বাজারের অবস্থা,আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ের তথ্য প্রভৃতি। এছাড়া কৃষকদের "খামারভিত্তিক চাহিদা" মেটানোর জন্য বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের নতুন কলা কৌশল ইত্যাদি উদ্ভাবিত হয়ে থাকে। সম্ভনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হওয়ার পর তা কৃষকদের আর্থ-সামাজিক ও খামার ব্যবস্থাপনার যথোপযুক্ত তা পরীক্ষা করা হয়। এরপর নির্বাচন করা হয় লাগসই প্রযুক্তি। অবশেষে তা বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকদের নিকট পৌঁছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ধাপেই সৃষ্টি হয় প্রচুর তথ্য, যা একজন সফল কৃষকের জন্য অত্যন্ত মুল্যবান। এসব তথ্য খুব দÿভাবে ব্যবস্থাপনা করে কৃষকদের কাজে ব্যবহারের উদ্দ্যেগ নিতে হবে। এসব তথ্য খুব দÿভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। যেমন-রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট (জউইগঝ) ,জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিষ্টেম (এওঝ), স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত জিওগ্রাফিক্যাল পজিশনিং সিষ্টেম (এচঝ) ইত্যাদি। রিলেশনাল ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেমের (জউইগঝ) বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন (ওরাকল (ঙজঅঈঅখ) অ্যাকসেস ( অপপবংং), ফক্্রপ্রো (ঋড়ীঢ়ৎড়) ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য, বাজার চাহিদা, খামারের নথি, সংকর ফসলের প্রোজেনি সিকোয়েন্স, ফসল উৎপাদন খরচ, পুষ্টি চাহিদা, বিভিন্ন ফসলের জাতের বিভিন্ন রোগও পোকামাকড়ের প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। এওঝ এবং এচঝ যেমন-আর্ক ইনফো (অৎপ ওহভড়) অটোডেস্ক ম্যাপ (অঁঃড়ফবংশ গধঢ়) প্রভৃতি সফটওয়ার ব্যবহৃত হয়পজিশন ব্যবস্থাপনা বা বিশেষ তথ্য, ভুমি বন্ধুরতা, জলাশয় বা পানি উৎসের অবস্থান, ফসল ÿেত্রের বি¯Íার, মৃত্তিকার মাতৃ -উপাদানের (চধৎবহঃ সধঃবৎরধষ) বৈশিষ্ট্য,নদী পথের গতি, বায়ুমন্ডলীর চাপ,আদ্রতা ও তাপমাত্রার বিবরণ ইত্যাদি জানতে। বিভিন্ন পরিসংখ্যাননিক সফটওয়ার -ঝচঝঝ, গঝঞঅঞ ইত্যাদি দ্বারা চোখের পলকে বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশেøষণ করা যায়। এ সকল প্রযুক্তির সমম্বয়ে যে কোনো জটিল বিষয়ে দ্রæত দÿভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। ফসলের এলাকা ভিত্তিক উপযোগিতা রোগের পূর্বাভাস,যথাযথ দমন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এ সকল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে যথেষ্ট সহজতর হতে পারে। তাছাড়া সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (ওচগ) বা সমন্বিত রোগ ব্যবস্থাপনা (ওউগ) ইত্যাদি প্রয়োগের জন্য যথেষ্ট তথ্যের প্রয়োজন। আর এসকল তথ্য পেতে তথ্যপ্রযুক্তির ভুমিকা অপরিসীম। ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রেও তথ্য আদানÑ প্রদানের বিশ্বজোড়া ÿক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র (ঝজউও) , ধান গবেষণা কেন্দ্র (ইজজও) ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (ইঅজ) তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। যাতে একটি সহনশীল উপায়ে কৃষিবাণিজ্যের উত্পাদন ও লভ্যাংশ বৃদ্ধি করা যায়। কৃষিক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরো স¤প্রসারিত হলে আমাদের কৃষি নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।

রিপোর্ট দৈনিক ডেসটিনি
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:১৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×