somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং - উন্নয়নের প্রবেশদ্বার

২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এমএলএম হচ্ছে একটি সামাজিক বাজার। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পাশাপাশি সকল প্রকার গৃহ সামগ্রী পাওয়া যায়। এই বাজারটির মালিকও হচ্ছে সমাজের সকলে যেখানে সকলেই ক্রেতা এবং সকলেই বিক্রেতা। আর সকল প্রকার পণ্যের গায়ে লভ্যাংশ উল্লেখ করা থাকে। ব্যবস্থাপনা ও হিসাব নিকাশের জন্য লভ্যাংশ হইতে সর্বোচ্চ শতকরা ২০টাকা ব্যয় করা হয়। বাকি ৮০ টাকা ক্রেতা এবং বিক্রেতা অর্থাত জনগণের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। এর ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কেই অর্থাত জনগণের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। এর ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই একসঙ্গে জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে। সমাজের যে কোন ব্যাক্তি অন্য আরেকজনের অভিভাবকত্বে এই জাতীয় কোন মার্কেটিং কোম্পানীর পণ্য সামগ্রী, মার্কেটিং প্লান ও লভ্যাংশ বন্টনের যাবতীয় পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনুধাবন করে পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে একটি ব্যবসা কেন্দ্রের মালিক হতে পারেন। যেখান থেকে পরবর্তীতে তিনি লাভ প্রাপ্তির মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন এবং অন্য ২ ব্যাক্তির নিকট নির্দিষ্ট লভ্যাংশের সমপরিমান পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান লাভ পেতে পারেন। আপনি ও আপনার অভিভাবকত্বে যোগদানকারী পরিবেশকের পরবর্তী ক্রয় বিক্রয়ের লাভ ভবিষ্যতেও পেতে থাকবেন। আপনার এই ব্যবসা কেন্দ্রের পরবর্তী কেনা বেচার মাধ্যমে অর্জিত লভ্যাংশ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত- এবং মৃত্যু পরবর্তী উত্তরাধীকারীগণ ও বংশ পরিক্রমায় ভবিষ্যতে লাভ পেতে থাকবেন। আপনি এবং আপনার অভিভাবকত্বে পরিবেশকদ্বয়ের পরবর্তী পরিবেশক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই ধরণের বাজার পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক হিসাব নিকাশ কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়। আপনার অধিনের পরিবেশক সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছেই। তাই সপ্তাহে অথবা পরবর্তী যে সপ্তাহে আপনার অধীনে কোম্পানীর হিসাব চার্ট অনুযায়ী যে লাভ পাওয়ার কথা তা ভবিষ্যত সপ্তাহ গুলোতে পেতেই থাকবেন। তাই এক সময় দেখা যায় এমন একটি দিন আসবে যেদিন থেকে প্রতি সপ্তাহে ঐ কোম্পানীর সর্বোচ্চ লাভ ভোগকারী ব্যাক্তি হবেন। সাধারণত বাংলাদেশের কোম্পানীগুলো থেকে সর্বোচ্চ ১০-১২ হাজার পর্যন- সপ্তাহে আয় করা যায়। যা মাসিক হিসাবে ৫০,০০০/- টাকারও অধিক আয়। এই পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে এলাকার সমগ্র জনগণের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সকলে মিলে নিজ নিজ এলাকায় একটি বড় বাজার বা মার্কেট গড়ে তোলা সম্ভব। যেহেতু এই পদ্ধতিতে এলাকার সকলেরই আর্থিক উন্নতি হয় সেহেতু, ব্যাক্তির স্ব-উদ্যোগে অথবা যৌথ উদ্যোগে সবার প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী উৎপাদন করা যায়। উৎপাদনকৃত পণ্য সামগ্রী নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রয় করা যায়। যার মাধ্যমে আপনি আরও আয়ের পাশাপাশি দেশ গঠনেও অবদান রাখতে পারেন। ইচ্ছে করলে আপনার / আপনাদের উদ্যোগে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে পারেন। একটি দেশ একটি সমাজ এভাবে আভ্যন-রীন সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমেই গঠন করতে পারে একটি সমৃদ্ধ দেশ। সকলে মিলে এক সাথে জোট বেধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকলেরই উন্নয়ন করা সম্ভব বলে একে একটি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। দেশের আভ্যন্তরিন উন্নয়নে দরকার সকলের অংশগ্রহণ। তাই সময় ব্যয় না করে দ্রুত অংশ গ্রহণ ও এই নুতন পদ্ধতিটির প্রচার এই মুহুর্তে সকলেরই একটি সামাজিক দায়িত্ব।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:২১
২৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×