আজ সকালে একুশে টিভিতে তানিয়া আমীরের উপস্থাপনায় টকশো দেখার সুযোগ হয়েছে। যে তিনজন আলোচক ছিলেন তাদের একজন সাংবাদিক, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আর একজন রাজনীতিবিদ। এবারের ভোটার/জাতীয় আইডি হচ্ছে একটি ট্রুলি টেকনিক্যাল কাজ। হাইটেকও বলা যায়। সম্পূর্ণটা কম্পিউটার নির্ভর। আলোচকদের মধ্যে অন্তত একজন আইটি বিশেষজ্ঞ থাকা উচিত ছিল।
যা হোক, তানিয়া আমীর নিজেই নানারকম উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে, সন্দেহ প্রকাশ করে আলোচনাকে গুলিয়ে ফেলেন। ফলে, ফলাফল কিছুই বের হয়ে আসেনি।
এক পর্যায়ে তানিয়া বললেন, আমি মনে করি, কোন নাগরিক যদি মনে করেন যে, আমি আমার আঙুলের ছাপ ও ছবি আইডির প্রয়োজনে প্রকাশ করবো না, তাহলে কী হবে? এটা তার নাগরিক রাইট। সেক্ষেত্রে তিনি কি ভোট দিতে পারবেন না?
আবার আরেক জায়গায় বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়েই ভোটার হওয়ার কাজটি করা উচিত, কারণ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সবার সময় হবে না, চুলায় রান্না থাকবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ সমস্ত আজে বাজে কথা বলে পুরো অনুষ্ঠানটিকে কনফিউজিং করে ফেলেছেন।
আমার কথা হচ্ছে, কেউ যদি ভোট কেন্দ্রে বা ভোটার হতে না চায় তাহলে সরকারের কী করার আছে? ভোটের সময়কি গ্রামের মহিলারা ঘরে বসেই ভোট দেবেন? ভোটকেন্দ্রে তো যেতেই হবে, লাইনে দাড়াতে হবে। সবাইকে তো ভাটার বানানো যাবে না একসংগে। ৮০% লোক যদি ভোটার হয় প্রথমবার, তাহলেই তো যথেষ্ট। ভোটার হওয়ার ব্যাপারটি হচ্ছে একটি কনটিনিউয়াস প্রসেস। আমি এবার ভোটার হতে পারলাম না তো সুযোগমত পরে হয়ে নেব। সে ব্যবস্থাটা থাকতে হবে।
আর নাগরিক অধিকারের আপত্তিকর যে কথাটি তানিয়া বলেছেন, সে ব্যাপারে বলতে চাই যে, দেশের সরকার সকল নাগরিকের আঙুলের ছাপ, ছবি, ডিটেইলস সংরক্ষন করে রাখতে পারেন, ডাটাবেস তৈরী করতে পারেন। সরকারের সে অধিকার আছে। এটা দেশের ভাল'র জন্য। নাগরিকের এখানে কী-ই বা বলার আছে! আপনি তো ইংল্যান্ডে পড়াশুনা করেছেন। সেখানকার মানুষের ডাটা কি সরকারের কাছে নেই? সভ্য ও উন্নত দেশে এটা থাকা আবশ্যক। জার্মানীতে আমি জানি যে, প্রতিটি নাগরিক ও ভিজিটরের পার্সপোর্ট বা আইডি কার্ড সার্বক্ষণিক সংগে রাখা সেখানে আইন। আইন ভংগকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এটা আমি নিজেই দেখেছি। আইডি কার্ড বিষয়ে আমি একটি পোস্ট দিয়েছি। দয়া করে পড়ার অনুরোধ করছি।