somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এরই নাম প্রেম আগে বুঝিনি

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তার সাথে নেটে পরিচয়।নেটেই ঘরসংসার,বাচ্চাকাচ্চার বাপ মা।আজ বাজার করে আনি তো কাল লবন অথবা ডাল শেষ।তার বকুনি,এই এতো কিপ্টে কেনো?সব বেশী বেশী করে আনবা।হা হা হা,ভালই চলছিলো আমাদের মান অভিমানের ভার্চুয়াল লাভ কাম সংসার।ফোনেও কথা হয়েছে,হয়ও মাঝে মাঝেই।সবকিছু ঠিক।পড়াশুনার খাতিরে আমার বাইরে থাকা।এই বাইরের একাকিত্বের জীবনে সেই যা একটু সান্তনা।তারসাথে কথাবলি,সুখ দুঃখ শেয়ার করি।ভালোবাসি,তাকে ভালোবাসাই।দিনগুলো স্বপ্নের মতই কাটছিলো।সে প্রায়ই বলে,আমি কবে দেশে আসবো।তার নাকি কিছুই ভালোলাগে না।তার অনেক প্লান আমাকে নিয়ে।প্রথমত সংসার করার স্বপ্ন দেখে সে।তার বাসায় তার কোনো স্বাধীনতা নাই।তার চলাফেরার গন্ডি সীমিত।তার প্রথম ইচ্ছে হলো,আমার জীবনে এসে সে স্বধীন হতে চায়।মুক্ত পাখির মতো।আমিও তাকে সেই আস্বাস দিয়েছি।সে মহা খুশি।বিশেষ করে আমার উদারতায় সে মুগ্ধ।কিন্ত আমার আবেগপ্রবনতায় তার প্রবল আপত্তি।আমার দায়িত্বজ্ঞান বোধও তার কাছে একটা বোঝা।কারন সে বেখেয়ালি।মোটেই কেয়ারিং না।অনেক বুঝিয়েছি।কোন লাভ হয়নি।উন্নতির কোন লক্ষন নেই।সে এতোটা উদাসিন ভাবাই যায় না।একদিন আমি তাকে ফোন করে বললাম,আমি আজ বাসায়,তুমি প্লিজ একটু নেট এ আসো।সে প্রথমে অবাক,তারপর বেজায় খুশি।বললো,২০ মিনিটের মধ্যে আসছি।২০ মিনিট,৪০ মিনিট,একঘন্টা,দুইঘন্টা যায় তার কোনো খবরই নেই।শেষে চার ঘন্টা পড়ে তার নেটে আগমন।কারন জিগ্যেস করলে সে বলে,বড় আপুর বাচ্চা তাশকিনকে সামলাতে তার একটু দেরি হয়েছে।আমারতো রাগে দুঃখে স্ইসাইড করার মতো আবস্থা।শান্তভাবে তাকে বললাম,একটা এসএমএস তো করতে পারতে যে আসতে পারছো না বা দেরি হবে?তার আরো শান্ত জবাব,মনেছিলো না।

এই হলো তার অবস্থা।বড়ই শান্তিতে আছি।আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট কেয়ারিং একটা ছেলে।আর আমার কপালেই কিনা এমন একটা জিনিষ জুটতে যাচ্ছে?
বরাবর আমার এখানে ঈদ হয় একদিন আগে।আমার ঈদের দিনে সারাদিন অপেক্ষা করলাম।তার কোনো খবর নাই।রাতে ফোন দিলাম।
বললাম,আমার এখানে আজ ঈদ।
তার হাসি মিশ্রিত জবাব,তাই নাকি?জানিনাতো?
বললাম তোমার জানার কথা না।
সে বললো,হুমম।
মেজাজটা বিগড়ে গেলো।ফোন কেটে দিলাম।ভাবলাম নিয়তি,কপাল,সবই কপাল!চাই কি আর করে কি।
তারপরদিন তার ওখানে ঈদ।সকাল থেকে বসে আছি।কোনো খবর নাই তার।বিকালে আমার ফোন।জিগ্যেস করলাম কই?
সে বললো,বাসায়।বোনের সাথে ঝগড়া।তাই কোথাও বের হয়নি।
জিগ্যেস করলাম, কি নিয়ে ঝগড়া?
বললো,রাতে বোনকে বলেছিলো হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিতে।বোন তারাহুরো করে লাগিয়ে দেয়ায় একদম সুন্দর হয়নি।
আমার মাথায় হাত!বললাম,আমি কি দোষ করলাম?সেই জন্যকি আমাকে ঈদের উইশটুকু করা যায়নি?
সে বললো,কিজানি।মন ভিশন খারাপ।দাড়াও এখন করছি।
আমি লাইনটা কেটে দিলাম।কিছুক্ষন চুপ করে দাড়িয়ে থাকলাম।শেষে মোবাইলটা অফ করে সিমটা বের করে আনলাম।যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে নিয়েছি।জানালাটা খুললাম।বাইরে বেদম বৃষ্টি হচ্ছে।জানালা গলিয়ে হাত বাড়ালাম।আহ!বৃষ্টির স্পর্শ লাগলো হাতে।সিমটা হাতে ধরা।মন খুব শান্ত।ভিষন কষ্টে কিনা কে জানে।মুখটা বের করলাম।বৃস্টির ফোটা পড়ছে গালে,চোখে,মুখে।চোখ বন্ধ করলাম।হাতের মুঠোটা খুলে দিলাম।হাত খালি হলো।মনও হয়তো খালি হবে।কিন্ত চোখ ভরে এলো।টের পেলো বৃষ্টির ফোটাগুলো...।

সর্বস্বত (তাসমান)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:১৩
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×