'কুট্টি ভাই, তুমার বইয়ের কী হইলো?' বয়রা কালুর দোকানে আড্ডা দেওনের সময়ে ছক্কু মিয়া জিগাইছে কুট্টি ভাইরে ।
'আরে আমি এককান গোপন্যাস থুক্কু উপন্যাস লেইখা প্রকাশকের কাছে গেছি । মনোনিত হওনের পর সেই লোকে কিছু পয়সা সাধছে আমারে ।
আমি কই, এতো কম ক্যান ভাইসাব?
সালা কয়, "এইভাবে ব্যাপারটারে দেখেন । তিন দিস্তা কাগজ, একটা ইকোনো রদ্দি মার্কা কলম আর একখান প্যাকেট । পঞ্চাশ টাকারও কম মাল আছে এই পান্ডুলিপির ভিতরে । যা দিতেছি অনেক দিতেছি ।"
সালার দুঃসাহস দেইখা আমি টাশকি খাইলাম । ইকটু চুপ থাইকা কইলাম কইলাম, 'নিজের দিকে চাইয়া দেখো সালা!'
সেই সালা আমার কথা শুইনা মনে হয় গিট্টু খাইছে । 'কী কও আবোল তাবোল?'
'খুব বেশি হইলে পঁচাশি কেজি মাল আছে গতরে । এর মধ্যে তিরিশ কেজি চর্বি, বিশ কেজি হাড্ডি, পাঁচ কেজি রক্ত আর বাকিটা দরকচা মারা গোশ । আরে সালা! তোমারে কসাইয়ের আংটায় ঝুলাইলে তো কুত্তায়ও তো খাইবো না! লাউয়াছড়ার কাউয়া তোমারে ঠোকরাইতে পারে বড়জোর !!'
'তারপরে কুট্টি ভাই!?!'
'আরে সালা তো খেইপা আমার পান্ডুলিপি, পেপারওয়েট, চেয়ার সব একটা একটা কইরা ফিক্কা মারলো আমার দিকে !'
'বাইঁচা ফিরলা ক্যামনে ?'
'আমি সালা আমার কেতাবখান ক্যাচ ধইরা বগলদাবা কইরা সোজা লৌড় পাড়ছি !! কুট্টি ভাইয়ের শইলে ডাইরেক্ট হিট এতো সস্তা নাকি! হুহ!'
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:০২