মানবী সুন্দর একটা লেকের কথা লিখেছেন তাঁর সাম্প্রতিক ব্লগে।মনোরম লেকের পরিবেশ।যার পাশে বসে থাকলেই মনটা ভরে যায়।
এই ব্লগে লিখতে গিয়ে মানবীর সাথে পরিচয়-পুতুল,শিলা,রাগ ইমন,সুমি,চতুরভূজ,মুনিয়া,জোনাকি,তাহসি,আইরিন সুলতানা,বিরহী,অজানা অচেনা,তানজিলা হক সহ আরো অনেক
মেয়েদের সাথে।
ছুটিতে মানবী সবাইকে লেকের পাশে নিমন্তুন জানালেন।কী আনন্দ, যেন পরীদের মেলা।লেকের পাশে নৌকা বাঁধা।পুতুল বললেন,চলো নৌকা চড়ি।আর চতুরভূজ বললেন ,নৌকাই যখন চড়ব চলো ফিশিং করি। পাশেই মানবীর বাসা। মানবী তাড়াতাড়ি ফিশিং রড নিয়ে এলেন। সবাই ওঠে পড়লেন নৌকায়। লেকের মাঝখানে নৌকা। চমতকার পরিবেশ।
কিছুক্ষন আগেই এ নৌকায় ছিলেন-আমেরিকার বিখ্যাত মহিলা কবি সারলট গরডন। পুরো নৌকা ভর্তি বই।মহিলা ভুল করে ফেলে গেছেন।
পরীর দল এবার এতো বই দেখে মাছ ধরার কথা ভুলে গিয়ে বই পড়া শুরু করলো।
ইতোমধ্যে সেখানে হাজির হয়েছে সিকাগোর টহল পুলিশ। তারা জানতে চাইলো -আপনাদের ফিশিং করার পারমিট আছে। না থাকলে আপনাদের রাইট আপ দেয়া হবে।
রাগ ইমন বললেন-আমরাতো মাছ ধরছি না আমরা শুধু পড়ছি।
পুলিশ অফিসার বললেন -তাতে কি? আপনাদের বোটে মাছ ধরার যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে । এটাই পানিশমেন্টের জন্য যথেষ্ট।
শিলা এগিয়ে এলেন। চোখ বড়বড় করে বললেন-আপনাদের বিরুদ্ধে কিন্তু শ্লীলতাহানির,ধর্ষনের অভিযোগ আনা হবে। জানেনতো -এটা আমেরিকায় কত মারাত্মক।-
এবার পুলিশ হো হো করে হাসতে লাগলেন।
সুমি বললো , পুলিশ মামা দয়া করে মুখ বন্ধ করুন। মুখে কিন্তু পোকামাকড় ঢুকে যাচ্ছে।
পুলিশ বললো -আমাদের বোকা পেয়েছ। আমরা কি তোমাদের গায়ে হাত দিয়েছি যে-আমাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনবে?
মানবী বললেন -তাতে কি? তোমাদের সাথেতো হাত আছে,যন্ত্র আছে, এটাইতো যথেষ্ট।
আর কোনো প্রশ্ন না করেই পুলিশের প্রস্থান।
(লিথুয়ানিয়ার গল্পের ছায়া অবলম্বনে)।
মোরাল- পড়ুয়া মেয়েদের কখনো ঘাটাতে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৪৫