somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমমোর্টালিটি নিয়া অপ্রাসঙ্গিক প্রাসঙ্গিকতা

০৬ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইমমোর্টালিটির পর কুন্ডেরার আর কোন লেখা পড়া হয় নাই আমার...সেই বিশ্ববিদ্যালয় কালে, যখন মার্ক্সবাদ আর অস্তিত্ববাদ নিয়া চরম দোলাচলে আছি, তখন এই পুস্তক পাঠে আমি ছিলাম মুগ্ধ! যদিও এই মুগ্ধতার কারনে একবারও রাজনীতি ছাড়নের প্রশ্ন আসে নাই...কারন অস্তিত্ববাদে আমার গুরু জ্যাঁ পল সার্ত্রে নিজেও রাজনৈতিক আন্দোলনের কথা কইতেন মার্ক্সীয় অনুসঙ্গে...সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু ইমমোর্টালিটি পাঠের পর আমার মানব সভ্যতার উদ্দেশ্যমূখীনতা নিয়া চিন্তার তুমুল আয়োজন শুরু হইলো।

শ্রদ্ধেয় এঙ্গেলস সাহেব এই সভ্যতার ইতিহাস নিয়া কথা কইতে গিয়া উৎপাদন আর পুনরুৎপাদনরেই প্রধান নিয়ামক কইয়া গেছেন। ঐসময় আমার মনে হইতো...এবং এখনো মনে হয়...এই দুই কার্যই আসলে কোন না কোন ভাবে কামে পর্যবসিত হয়। পুনরুৎপাদন নিয়া কোন প্রশ্ন থাকে না, কিন্তু মানুষ উৎপাদনেও ইউনিক হওনের পথ খুঁজে। কার্ল মার্ক্স সাহেব যেই কারণে মূর্ত শ্রম আর বিমূর্ত শ্রমের ব্যাপারে তার সহায়ক গ্রন্থসমূহে বইলা গেছেন। বিমূর্ত শ্রমের ব্যাপারেও তার একটা হালকা নেপোটিজম টের পাওন যায়...বৈষম্যহীনতার সংগ্রামরত সমাজেও যেই কারণে শিল্পী স্রষ্টারা বাড়তি প্রেফারেন্স পাওনের সম্ভাবনা থাকে।

ইমমোর্টালিটির সাথে কাম'এর সম্পর্ক কি? ক্যান অহেতুক এই প্রসঙ্গ অবতারণা করি আমার লেখায়! কাম কর্মতে দেখা যায় পরবর্তীর একটা বোধ থাইকা যায়...কর্মকালীন অনুভূতি বিষয়ে প্রশ্নমালা থাইকা যায়...মনে evaluation থাকে আর কি। এইটা কি ইমমোর্টালিটির সাথে সম্পর্কযুক্ত না!? যখনি কোন তৃতীয় অনুভূতির প্রশ্ন আসে সেইটাই কি ইমমোর্টালিটির প্রসঙ্গ টাইনা আনে না! আমি মনে করি আনে।

তয় মানব সমাজে সবচাইতে প্রচলিত ইমমোর্টালিটির অবতারণা হয় পিতৃত্ব কিম্বা মাতৃত্ববোধ দিয়া। এর দূরবর্তী অংশও আছে...দাদা-দাদী, নানা-নানী হওয়াতেও এর ধারে কাছের ফিলিং থাকে। সন্তান উৎপাদন আর তার প্রতিপালনে এই ইমমোর্টালিটির বোধই যে প্রধান নিয়ামক সেইটা কি আসলেই এমনে থাকে?

আমি নিজে পিতা হওয়া নিয়া আগ্রহী না। আমার কাছে মনে হয়, আমি আমার পিতার সকল অনুসঙ্গ উৎরাইয়া যাইতে চাই সবসময়। তার একটা ক্রোমোজোম ছাড়া আর কিছু তো আমার শরীরে থাকনের সম্ভাবনা নাই অদূর ভবিষ্যতে...তাইলে আমাতে ক্যান আমার পিতা ইমমোর্টালিটির ছায়া দেখতে পাইবো? নামেও তো কোন মিল নাই...বা যতোটুক আছে সেইটাতো আরো শত হাজার মানুষের সাথেই আছে!
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×