পৃথিবীর নারীকূলে নবজাগরন,
দল বাঁন্ধি স্বর্গধামে দেয় ডেপুটেশন।।
প্রভু কহে- কেমনে আমি না মানিয়া পারি!
পুরুষে পাইবে ব্যাথা পাইবে না নারী।।
-তথাস্তু-
ধরাধামে কিছু নারী একত্রিত হইয়া সোসাইটি গঠন করিয়াছেন। পতিদেব কর্মে বাহির হইয়া গেলে তাহাদের বৈঠক শুরু হইয়া থাকে। বৈঠকের বিষয় বর্ননা করার প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে হয় না। কারন তাহাদের নিকট প্রধান বিষয় পি.এন.পি.সি (পর নিন্দা পর চর্চা)। আরেকটি বিষয় হইল পুরুষের বিরোধিতা। বহু দিন ধরিয়া সোসাইটিতে এই হইয়া আসিতেছে। তবে কাহাতক আর একই বিষয় লইয়া আলোচনা করা যায়। সোসাইটির নেত্রী একদিন বলিলেন, এতদিন আমরা শুধু গল্পই করিয়াছি, ডাইরেক্ট একশনে নামি নাই। এইবার আমাদের কিছু কাজের কাজ করা প্রয়োজন। না হইলে সোসাইটির ইজ্জত থাকেনা।
কি করা হইবে!! ঠিক হইল তাহারা ইশ্বরের নিকট ডেপুটেশন দিবেন। কি বিষয়ে! তাহারা ভাবিয়া দেখিল পুরুষদিগকে বাড়ির কাজ করিতে হইবে আর তাহারা বাইরে কাজ করিবে এই দাবী তুলিলে তাহাদের দিবা নিদ্রা, টিভি সিরিয়াল দেখা, সোসাইটির কাজ চালানোয় অসুবিধা দেখা দিতে পারে। সুতরাং ইহা করা যাইবে না। তবে!!! একজন বলিল, আচ্ছা, আমরা যে ১০ মাস ধরিয়া সন্তান পেটে ধারন করি আর জন্ম দিবার সময়ে কঠিন কষ্ট পাই সেই তূলনায় পুরুষগন কিছুই করে না। তাহারা দান করিয়াই খালাস। চলো এই নীতি পাল্টাইবার দাবীতে ডেপুটেশন দেই। এই প্রস্তাব সকলেরই মনে ধরিল।
ইশ্বর ভীষন ব্যাস্ত। সামনে স্বর্গের ইলেকশন। এমতাবস্থায় নারী সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ পৌছিলেন। ইশ্বর সব শুনিয়া বলিলেন, তবে তোমরা কি চাও? তাহারা বলিল, পুরুষদিগকে সন্তানধারন করিতে হইবে। ইশ্বর কিছুতেই মানিলেন না বলিলেন ইহা কিছুতেই হইতে পারিবে না। তোমরা অন্য কিছু চাও নতুবা কিছুই পাইবে না। অতএব সোসাইটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করিয়া ঠিক করিল সন্তান তাহারা ধারন করিবে ঠিক আছে কিন্তু জন্ম দিবার সময়ের কষ্ট পুরুষকে সহ্য করিতে হইবে। ইশ্বর এইবার রাজী হইলেন। বলিলেন তথাস্তু।
সোসাইটির প্রতিনিধিগন ফিরিয়া আসিয়া সুসংবাদ দান করিলেন। সকলেই খুশী। পুরুষেরা সব শুনিয়া প্রমাদ গুনিলেন।
কিছুদিন পরেই সংবাদ পাওয়া গেল সোসাইটির নেত্রী গর্ভবতী। কয়েক দিন পূর্বেই তাহার বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছিল। দিন যায় মাস যায়। সময় ঘনাইয়া আসিল। তাহার প্রসব বেদনা অনুভূত হয়না। ঠিকই আছে। কিন্তু অবাক করা ঘটনা হইল স্বামীরওতো হয়না। খুব চিন্তার কথা। তা হইলে ইশ্বর পুরুষদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করিলেন!!
না... ইশ্বর তা করেন নি। হঠাৎই নেত্রীর পাশের বাড়িতে এম্বুলেন্স নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু। সেই বাড়ির ভদ্রলোকের পেটে ভীষন ব্যাথা আরম্ভ হইয়াছে।
হে ইশ্বর, সবই তোমার মায়া.....(কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ভণ্ড মুসলমান
ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?
মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসবে তুমি কবে ?
আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন
(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )
একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোথাও ছিলো না কেউ ....
কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।
আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়
আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন