somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বার্মার অস্থিরতা এবং অং সান সুচি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রতিক সময়ে বার্মার মানুষ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জেগের উঠেছে। শুরু করেছে তাদের প্রতিবাদ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সামহ্যোয়ার কর্তৃপক্ষকে এই আন্দোলনে নিজেদের সমর্থন দেয়ার জন্য।

১৯৪৮ সালে বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬২ সালে এক ক্যু এর মাধ্যমে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে যা এখন পর্যন্ত চলে আসছে। মাঝে ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সামরিক সরকার জনগণের গনতন্ত্রেরন জন্য দাবীর মুখে পদত্যাগ করলে নতুন একটি সামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহন করে। কাকতালীয়ভাবে সেই বছরই অং সান সুচি অসুস্থ মা'র জন্য দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি সে বছরই গান্ধী দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে "ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি" নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠন সৃষ্টির জন্য গৃহবন্দী হন। ১৯৮৯ সালে সরকার তার গৃহবন্দীত্ব অবসানের ঘোষনা দেয় তাঁর দেশ ত্যাগের শর্ত সাপেক্ষে। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

পরবর্তীতে ১৯৯০ এর সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জিতলে তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। গৃহবন্দী অবস্থায় তিনি নোবেল সহ আরও অনেক পুরস্কার পান। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে তাঁকে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি দেয়া হলেও বলা হয় যে তিনি যদি তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে লন্ডন যান, তবে তাঁকে ফিরতে দেয়া হবে না। এমনকি তাঁর প্রোস্টেট ক্যান্সারে আংক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুবরণের সময়ও তাঁকে যেতে দেয়া হয়নি। তিনি তাঁর পুত্র এবং পরিবার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন। ২০০৩ সালে তাঁকে আবারও গৃহবন্দী করা হয়।

গত ২২শে সেপ্টেমবর থেকে শুরু হয়েছে বার্মার জনগণের প্রতিবাদ। সুচি নিজেও তাঁর বাড়ীর গেট থেকে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। বার্মার জনতা আজ জেগেছে। একটি দেশের জাতি যখন জেগে ওঠে, তখন কোন কিছুই আর তাদের রুখতে পারে না।

সুচী ইচ্ছা করলেই পারতেন বেনজীরের মত বিদেশে চলে যেতে। কাপুরুষের মত পালিয়ে যাননি তিনি। হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই নেত্রীকে যিনি দেশের জন্য নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন, বিসর্জন দিয়েছেন সকল আনন্দ এবং একটি স্বাভাবিক জীবন। একদিন না একদিন বার্মায় সামরিক সরকারের পতন হয়ে সুস্থ গনতন্ত্র ফিরে আসবে - সেই প্রত্যাশা করি।

সুচীর জীবনী
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৫৮
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×