আপনি যদি হাতে একটি মুদ্রা নিয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে এটি ভাবতে থাকেন যে এটি ক্রমাগত উত্তপ্ত হচ্ছে, একসময় আপনার হাতের ঐ জায়গাটিতে ফোস্কা পড়ে যাবে।
আমেরিকায় এরকম কিছু নিরাময় কেন্দ্র আছে যেখানে দুরারোগ্য সব ব্যধি সারানোর চেষ্টা হয় বিশ্বাসের মাধ্যমে, প্রচলিত চিকিৎসায় যেসব ব্যধির আর কোন চিকিৎসা নেই।
তাই যারা শুধুমাত্র যুক্তির মাধ্যমে সবকিছু বিচার বিশ্লেষন করতে যান তারা বিশ্বাসের প্রবল শক্তিটুকুকে উপেক্ষা করেন।
আর সব বিশ্বাসের চাইতে ধর্মীয় বিশ্বাসটি মানুষের মনে কাজ করে সব চাইতে বেশি।
একজন মানুষ যখন জন্ম নেয় তখন তার নামটি দেয়া হয় ধর্মীয় রীতি অনুসারে। ধর্মীয় শিক্ষাগুলো তার মনে বদ্ধমুল হতে থাকে আর সব শিক্ষার আগে। তার জীবনের আরেকটি গুরুত্বপুর্ন ঘটনা তার বিয়ে, যেখানে তার ভবিষত প্রজন্মের দ্বার উন্মোচিত হয়।এটিও সারা হয় ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী। তারপর মানুষের জীবনের অলংঘনীয় যে অধ্যায়টি, তা হল জন্মিলে মরিতে হয়। মৃতের যে সৎকার সেক্ষেত্রেও ধর্মীয় বিধান মানা হয় কঠোরভাবে, ধর্মের অন্যান্য ব্যপারে শিথিলতা দেখানো হলেও এটি পালন করা হয় যত্নের সাথে।
আমরা যুক্তিশীল মানুষ বিজ্ঞান দিয়ে যারা সবকিছু যাচাই করতে চান, তারাও জানেন বিজ্ঞানেরও একসময় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আমি যথাসম্ভব বিবিসির একটি বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠানে যে জিনিষটি কিছুটা অস্পষ্টভাবে হলেও বুঝতে পেরেছিলাম তা হল আজ থেকে অনেক বছর পরে বিজ্ঞানীদের পথ চলতে চলতে একসময় থমকে দাড়াতে হবে, সামনে থাকবে অলংঘনীয় প্রাচীর। বিজ্ঞান যেখানে অসহায় হয়ে পড়বে। কিছুদিন আগ পর্যন্তও বিজ্ঞান যে ভিৎতির উপর দাড়িয়েছিল তা আইনষ্টাইন টলিয়ে দিয়েছিলেন তার আপেক্ষিকতাবাদ সুত্রের দ্বারা। আবার আইনষ্টাইন যে আলোর গতিকে ধ্রুব সত্য বলে ধরে নিয়েছিলেন, এখন আবার বলা হ্য় যে মাধ্যম পরিবর্তিত হলে আলো আরো দ্রুত গতিতে চলতে পারবে।
২০০৩ সালের এক জরিপে (সম্ভবত সরকারি) দেখা গেছে যে বাংলাদেশের মানুষেরা তার ধর্মীয় পরিচয়টাকে সবচাইতে বড় করে দেখেন।
আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন পবিত্র রজনীতে আমাদের শ্রদ্ধেয় মা বাবাকে চোখের পানি ফেলতে দেখেছি শ্রষ্টার কাছে, হয়তবা আমাদেরই মংগল কামনা করে।
সন্তান হারা পিতামাতা কিংবা পিতামাতাহারা সন্তান কে আপনারা কোনদিন দেখেননি শ্রষ্টার কাছে আশ্রয় খুজতে নিজেদের মনোকষ্ট ভোলার জন্য।
তাই হাসি ঠাট্টার সাথে হালকাভাবে ধর্মীয় ব্যপারগুলো শুধুমাত্র বাকস্বাধিনতা আর যুক্তির দোহাই দিয়ে উপস্থাপন কতটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক, তা সহজেই বোধগম্য।
শেষ করছি আমার জীবনের একটি অভিজ্ঞতা দিয়ে, এক যুগেরও আগের ঘটনা। কথায় কথায় একভদ্রলোক বললেন চাদে যাওয়ার ঘটনাটি বানোয়াট। লোকটির মুর্খতায় আমি বিস্মিত হয়েছিলাম এই ভেবে সারা পৃথিবীতে যে ঘটনাটি টিভিতে প্রচারিত হয়েছিল তা মিথ্য হয় কি করে।
গত কয়মাস আগের ঘটনা আমরিকায় প্রায় একযুগ অবস্থানকারি এক বড় ভাই জানালেন খোদ আমেরিকাতেই নাকি তথ্য প্রমান সহ একটি বই বেরিয়েছে চাদ অভিযানের পুরো ঘটনাটিই নাকি নাভাদার মরুভুমিতে চিত্রায়িত।