somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সকল শহীদ স্বরনে কর জোরে ক্ষমা চাই

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হে আমার জাতীর সর্ব শ্রষ্ঠ বীর পুরুষ গন। আমাদের ক্ষমা করুণ। আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরশূরী হতে পারিনি। আপনাদের বীরত্ব নিয়ে গর্ব করি অহংকার করি। কিন্তু আপনাদের মত নর্বিক চিত্ত আমরা পাইনি। আপনারা সড়েসাতকোটি বাঙ্গালির মুক্তির জন্য জীবন দান করেছেন। আমরা প্রান পন করি হাসিনা, খালেদা, এরশাদের জন্য। কজেই আমরা আপনাদের বীরত্বের মর্যাদা রাখতে পারিনি।
তার কারণ অনেক:
ক্ষমা করবেন, আমি জানি আমার কথা শুনে আপনাদের শরীর রাগে রীরী করছে। কিন্তু বলতেতো হবেই, সে সংবাদ যত কলংকেরই হউক। আপনাদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলায় জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়। আপনাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন, বাংলায় শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী করা হয়। ইতিহাস বিকৃতি তো একটা সামান্য ব্যাপার মাত্র।
হ্যাঁ, ব্যাপার খুলেই বলছি।
আপনারাতো প্রায় সবাই বাংলাকে শত্রু মুক্ত দেখে যেতে পাড়েননি। আপনাদের দেয়া উপহার স্বাধীনতা আমরা কিছুদিন উপভোগও করেছি। যদিও সে সময়ও চোরের উপদ্রব ছিল। তাইতো জাতিরপিতা দুঃখ করে বলেছিলেন: মানুষ হল সারে সাতকোটি কম্বল এসেছে আট কোটি তবে আমার কম্বলটা গেল কৈ?
স্বধীন বাংলায় প্রথম নির্বাচন: আ: লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নজীরবিহীন জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও অতি উৎসাহী কিছু ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা কর্মিরা নিতান্তই দুর্বল জাসদ, যারা হয়ত একটি কি দুটি আসন পেত কিনা সন্দেহ, তাদের প্রচার, মিটিং, মিছিল জোর করে পন্ড করে দেয়। এজন্য কেউ কেউ পুরস্কৃতও হয়। এভাবে একপ্রকার সৈর মনোভাব আঃ লীগ প্রশ্রয় দেয়। যার উদাহরণ আঃলীগে এখনো পাওয়া যায়। দেশে বিরোধী দল নেই বললেই চলে। জাতী বঙ্গবন্ধুর আদেশ শীরধার্য মনে করা সত্বেও তিনি বাকশাল করেন। ছোট দল গুলির মত প্রকাশের অধিকার তারা পায়না। শুরু গোপন দলাদলির, যা আজও চলছে। এদের অনেকেই আপনাদের সহ যোদ্ধা। মত প্রকাশের পথ না পেয়ে এরা বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
এই সুযোগে আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধে হেরেযাওয়া হায়েনার দল আবার সংগঠিত হয়। এবং জাতির পিতাকে প্রয় স্বপরিবারে হত্যা করে।
এই অবস্থায় জাসদ সেই হায়েনাদের মোকাবেলায় নিজেদের যথেষ্ট শক্তিশালী মনে করে। এবং প্রতিরোধ করে। তাদের সবচেয়ে বড় ভূল তারা ভূল লোকে বিশ্বাস করে তার হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। আপনারা শুনে অবাক হবেন তিনি জিয়াউর রহমান। তখন কেউ ধারনা করেনি যে আপনাদের মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলাকে গো আযমের হেরেম বানাবে।
অবাক হবেননা। এটাই সত্যি। মেজর জিয়া খুব বেশী সময় নেননি। অতি অল্প সময়েই আপনাদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরে দাফনের ব্যাবস্থা করেন। জাসদ আঃ লীগ দিয়ে কিমা বানিয়ে গো আযমকে আপনাদের স্বাধীন বাংলায় আমন্ত্রন করেন।
এক সময় তাকেও নর বলি হতে হয়। গো আযম বাংলার মসনদে নতুন পুতুল এরশাদকে সাজান। এসব আর কি বলব: আপনাদের ধৈর্য চুত্যি ঘটছে? কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা এরশাদ সোরাচারীর সাথে প্রহসনের নির্বাচনে নামে। গো আযম গোফে তেল মাখছে আল ভাবছে এই হাসিনা আমাকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
এদিকে দেশের মানুষ অন্য বস্রের অভাবে দিশে হারা। আন্দোলনের নামে হরতাল দিয়ে সোনার বাংলা শ্বশান করে ফেলেছে। জনগনের বারটা বেজে গেছে। সেদিকে বঙ্গ কন্যার খেয়াল নেই।
এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল গো আযমরা। খালেদাকে মঞ্চে রেখে শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী বানায়। অলংকারের সখ মেটাতে খালেদা খাজান্চি খানা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে খালি করছে। বাইতুল মালের বদৌলতে গো আযমদের টাকার অভাব নাই। জনগনের চিন্তা তো আর তাদের করার কথা নয়।
এখন আমরা যারা আপনাদের বীরত্বে গর্বিত, কিছু বলতে পারি না। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তালিকা বানায় গো আযম আর খালেদা জিয়া। এই তো দিন কয়েক হল, এক ছেলে কি এক ছবি আঁকছে, সে জন্য তার ফাসী চায়। চাইবে বা না কেন ইসলামে জীব-যন্তুর ছবি আঁকা হারাম।
আমাদের ক্ষমা করবেন, গো আযমদের কাছে আমরা হেরে গেছি। স্বাধিন বাংলায় এখন শুধু গো আযম স্বাধীন। সোনার বাংলা এখন মোল্লাদের হেরেম। আপনাদের বীরত্ব ক্ষমায়ও শ্রেষ্ঠ। আমাদের ক্ষমা করুণ।
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×