somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারাবীহর নামাজ কি শুধুই কুরআন খতমের জন্য???

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আস্সালামুআলাইকুম

সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা। দেরী হওয়ার জন্য দুঃখিত। আসলে আরেকটা পোস্ট রেডি করেছিলাম। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আর পোস্ট করা হয়নি।
যাক গে...

তারাবীর নামাজ নিয়ে কিছু বলতে চাই।
শুধু রমজান মাসেই তারাবীর নামাজ পড়তে হয়। তারাবীর নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। অর্থাৎ না পড়লে গুনাহ হইবে।

রমজান মাস আসলে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন ভাবে তারাবীর আয়োজন করে। কোথাও সূরা-তারাবী আবার কোথাও খতম তারবীহ পড়ে। সূরা তারাবী নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই। কিন্তু খতম তারাবীহ নিয়ে কিছু কথা আছে।

রমজান মাসে কুরআন খতম দেয়া একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। তাই রমজান মাসে কুরআন খতম দেয়ার চেষ্টা করা উচিত।

যা বলছিলাম, আমাদের এলাকায় মসজিদে কুরআন খতম দেয়া হয় ২৭ দিনে। ১ম ৬ দিন ১.৫ পাড়া করে পড়ে পরবর্তী ২১দিন ১পাড়া করে ২৭তম দিনে খতম হয়। পরের ২/৩ দিন সূরা-তারাবীহ পড়া হয়। খুবই পছন্দনীয় পদ্ধতি। কোথাও আবার ২ খতম দেয়া হয়। কোথাও ১৫ দিনে খতম হয় আবার ৫দিন এমনকি ৩ দিনেও খতম হয়। বন্ধুরা অনেকেই খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে কমদিনে যেখানে খতম দেয় সেখানেই তারাবীর নামাজ পড়ে। জিজ্ঞেস করলে বলে এতদিন ধরে তারাবীহ পড়া সম্ভব নাকি?..... তার মানে তারাবীহ মানে শুধু খতম দেয়া পর্যন্তই তারাবির নির্দেশ নাকি?
দেখা যায় যেসব জায়গায় ৩,৫,৭ দিনে কুরআন খতম দেয় সেখানে ইমামরা অসম্ভব দ্রুত গতিতে কুরআন পড়ে ফলে মুত্তাকীরা শব্দ শূনলেও বুঝতেও পারে না ইমাম সাহেব কি পড়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে তো মনে হবে প্ররাপ বকে যাচ্ছেন। আমার কাছে এটাকে কুরআনের অবমাননা বলে মনে হয়। তার চেয়ে কুরআন খতম না দিয়ে সূরা তারাবীহ পড়া অনেক উত্তম।
তারাবীতে কুরআন খতম দেয়ার নিয়ম হচ্ছে সম্পূর্ণ কুরআন নামাজে দন্ডায়মান অবস্থায় শ্রবণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যায় যেখানে ইমাম সাহেব যখন ১ম রাকাতে কিরাত পাঠ করেন তখন অনেকেই পিছনে বসে বসে সময় কাটয়। ইমাম যখনই রুকুতে যান তখন সবাই দৌড়ে রুকুতে শামিল হয়। এটা আবার কেমন খতম? এর চেয়ে স্বল্প দৈর্ঘের সূরা দিয়ে সূরা তারাবি পড়া কি উত্তম নয়?

তারাবীহর নামাজ হলো ধীরে সুস্থে পড়ার নামাজ। সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে ৪ রাকাত পড়ার পর বসে এ পর্যন্ত যাপড়া হয়েছে তা আলোচনা করা। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক যায়গায় এমনটি করা হয়।

যে নামাজ ধীরে সুস্থে পড়তে বলা হয়েছে সেখানে যদি কুরআন নিয়ে এমন টানাটানি করা হয় তাহলে কি আল্লাহ খুশী হবেন নাকি অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে পড়লে আল্লাহ খুশী হবেন?

প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা আল্লাহকে খুশি করার জন্যই নামাজ পড়ি। নিশ্চয় অন্য কাউকে খুশি করার জন্য নয়। কাজেই নামাজ হওয়া উচিত আল্লাহর নির্দেশ মতোই। আপনার যদি খতমের উদ্দেশ্য থাকে তাহলে যেখানে ২৭ দিন, ১৫ দিনে খতম দেয় সেগুলোতে নামাজ আদায় করেন। আর খতম না দিলেও দোষের কিছু নেই কিন্তু ১০ দিনে খতম শেষ করে যদি আর বাকি ২০ দিনের নামাজ ছেড়ে দেন তাহলে অনেক বড় গোনাহের কাজ হবে। কাজেই খতম না হোক অন্তত সূরা তারাবীহ পড়ে হলেও রমজান মাসে প্রতিদিন তারাবীহ পড়ে যান। কারণ আমাদেরকে প্রথমত তারাবীহ পড়তে বলা হয়েছে কুরআন খতম করতে বলা হয়নি।

আল্লাহ আমাদের নামাজ এবং রোজা সমূহ কবুল করুণ।

আল্লাহ হাফিজ।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×