আমি জানি, বোধিসত্ববৃক্ষের নিচে একদিন কবিতা পড়া হবে কারণ সেখানে থাকবে না কোনো আলু গাছ কিংবা ধনে পাতা। সুকান্ত ভট্টাচার্য এসে সেই কবিতা শুনে মাথা দুলিয়ে বলবে, রিভার্স, ওয়াও। আমি এটাও জানি, বিধাতার রাজ্যে গদ্যের ছড়াছড়ি থাকলেও সারাংশ বা ভাব-সম্প্রসারণ মার খায় পদে পদে। আমি আরও জানি, বোধিবৃক্ষের নিচে বসা কবিতাগুলো মাথা দুলিয়ে বলবে- ‘আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়...’। পাশে জমিদারবাড়ির গোমস্তা সেটা শুনে হুঙ্কার ছাড়বে, আদেশ দিবে কোতোয়ালকে- নূরলদীন এসে যেন আমাদের রান্না করা খিচুড়ী যেন না খেয়ে যায়, খেলে তোমার অ্যাকাউন্ট থেকে খিচুড়ী কেটে নেওয়া হবে। সার্ভিস চার্জ দেবে তোমার বউ-পোলাপান। ওদিকে রাজাসাহেব নতুন কবিকে ডেকে বলবেন-
শোনো হে, ওরা গাছের নিচে বসে বসে পড়ছে সব কবিতা,
তুমি এক্ষুণি যাও, নোট নাও লিখবে ওরা যা বলে সবি তা।
এই যে তুমি দেখছে গলায় আমার কণ্ঠহারখানি,
তোমার যোগ্যতাবলেই তুমি তা পাবে জানি।
শোনো ওদের ভাবাবেগ, লিখে ফেলো তা তোমার নামে বাদ দিয়ে সব আবেগ,
কপিরাইট হবে তোমার, নোবেল পাবে তুমি, পাবে তুমি একটি খিচুড়ীরও ডেগ।
এসব যে ঘটেছে আজ থেকে ১০০ বছর আগে, আমি তা জেনেছিলাম। এসব যে ঘটবে ১০০ বছর পরে তাও আমি জানবো। কিন্তু আমি জানি না, গাছের নিচে বসা কবিরা নাকি জমিদারবাড়ির খিচুড়ীর রাঁধুনি আমাকে হারামজাদা বলে। যদিও তোমরা জানো আমার সবই হালাল।