খোকা একটা পাহাড়ে উঠল। খোকা এত দিন যে পাহাড় গুলি চিনত, সেগুলি ছিল, তার আগ্নেয়গিরি। মাত্র হাটু সমান উঁচু। মৃত আগ্নেয়গিরিটি সে পিড়ি হিসাবে ব্যাবহার করত।
খোকা মনে মনে ভাবল: এই রকম ঊঁচু একটা পাহার থেকে আমি পুড়ো গ্রহটা আর তার মানুষ গুলি দেখতে পাব। কিন্তু খোকা পাহাড়ের শীর্ষ চূড়া ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না।
নমষ্কার! অনেকটা অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতই বলল খোকা।
নমষ্কার... নমষ্কার... নমষ্কার ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এল।
কে তুমি? খোকা জিজ্ঞেস করল।
কে তুমি... কে তুমি... কে তুমি প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এল।
আমি একা। তুমি আমার বন্ধু হবে!
আমি একা... আমি একা... আমি একা। আবার প্রতিধ্বনিত হল।
খোকা ভাবল: কি আশ্চর্য্য জগৎ! নোনা, শুকনো আর বন্দুর এই পৃথিবী। মানুষ গুলির কোন নিজস্ব চিন্তা নেই। শুধু অন্যের কথার প্রতিধ্বনি করে। আমার গ্রহে একটা ফুল ছিল। সব সময় সেই আগে কথা বলত।